পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্সা নিতে এসে গজালিয়া গতিরাম পাড়ার এক ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষিতা সুমি ত্রিপুরা (১৬) সে গজালিয়া গতিরাম ত্রিপুরা পাড়ার হামাজন ত্রিপুরা মেয়ে।
লামা থানা মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৭ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় সুমি ত্রিপুরাকে তার মা মারধর করায়, শারিরীক চিকিত্সার জন্য লামা হাসপাতালে ভর্তি হয়। একদিন চিকিত্সা শেষে ১৮ আগস্ট বেলা ১১ টায় তাকে চিকিত্সা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সুমি ত্রিপুরা হাসপাতালে কর্মচারীদের কাছে তার জখমি সনদ চাইলে হাসপাতালে স্টাফ নুর মোহাম্মদ (৩৮) ও শাহ আলম (৪২) অসত্ উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য নানা তালবাহানা করে তাকে রেখে দেয়।
এদিকে অপেক্ষা করতে করতে রাত হয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল সংলগ্ন হাসপাতাল পাড়ার মিরাজ মাঝির ছেলে সেলিম (২৭), ১৮ আগষ্ট রাত অনুমান সাড়ে ৭টার সময় মাতামুহুরী নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা সুমি ত্রিপুরা আশ্রয়ের জন্য লামা হাসপাতালের আসলে কর্তব্যরত নার্স তাকে আশ্রয় দেয়। অতঃপর সুযোগ পেয়ে লামা হাসপাতালের কর্মচারী নুর মোহাম্মদ ও শাহ আলম উক্ত ভিকটিমকে ১৮ আগষ্ট রাত অনুমান ৮টা ১৫ মিনিটের সময় লামা উপজেলা হাসপাতালের অফিস সহকারীদের ডিউটির বিশ্রাম কক্ষে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ লামা উপজেলার শাখার সভাপতি উইলিয়াম ত্রিপুরা বাদী হয়ে লামা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ইং এর ৯(৩) ধারায় মামলা রুজু করে। মামলা নং-০৭, তারিখ-১৯/০৮/২০১৫ইং।
মামলাটি আমলে নিয়ে লামা থানা ভিকটিমকে ধর্ষণ সংক্রান্তে ডাক্তারী পরীক্ষা করা জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয় বান্দরবান প্রেরণ করে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লামা থানার পুলিশ এজাহার নামীয় আসামী নুর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করেছে এবং অপর দুই আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
মামলার আইও লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম ধর্ষণের ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে জানান, ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামী একজনকে আটক করা হয়েছে। অপর দু’জনকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তত্পর রয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করার জন্য আমি নিজেই বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
You must be logged in to post a comment.