মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
পার্বত্য জেলা বান্দবানের লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড শিলেরতুয়া নয়া পাড়া এলাকায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী শিউলি আক্তার (১৪)কে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ করেছে ভিকটিমের পিতা মনির হোসেন। বাড়ীতে বাবা মায়ের অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়ে প্রতিবেশী মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩১) পিতা মৃত মুকবুল হোসেন ৮ আগষ্ট শনিবার রাত ১২টায় জানালা কেটে ঘরে প্রবেশ করে মূখ চেপে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
লামা থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, ৮ আগষ্ট বাদী মনির হোসেন তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা ৩ মেয়ে ও ১ ছেলেকে ঘরে রেখে জায়গা জমির বিষয়ে চট্টগ্রাম চলে যায়। এ সুযোগে বিবাদী কৌশলে জানালা কেটে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে শিউলি আক্তারকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। হঠাৎ শিউলি আক্তারের ঘুম ভেঙ্গে ধর্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামকে তার বুকের উপর দেখে চিৎকার দিতে গেলে বিবাদী তার মূখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে পার্শ্বে শোয়া অন্য ২বোন ও ১ ভাই বিবাদীকে দেখে স্বজোরে চিৎকার করলে প্রতিবেশী লোকজন ঘটনাস্থলে দিকে এগিয়ে আসে। লোকজন আসতে দেখে ভিকটিমকে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে প্রতিবেশী সুলতান আহাম্মদ, লিটন, সোলেমান, মালেকা বেগম, কহিনুর ও তাছলিমা মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লামা হাসপাতালে নিয়ে আসে। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য কয়েক দফা বৈঠকে বসে সমাধান করতে না পারায় থানায় মামলা করতে বিলম্ব হয় বলে জানায় শিউলি আক্তারের বাবা।
এ ব্যাপারে লামা থানায় শিউলি আক্তারে বাবা মনির হোসেন বাদী হয়ে ১৩ আগষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন ধমন আইন ২০০০ এর ৯ (৪) (খ) মামলা রুজু করেন। মামলা নং- ০৩, তারিখ ১৩ আগষ্ট ১৫।
লামা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এসআই মোঃ হারুণ আর রশীদ বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। আসামীকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
You must be logged in to post a comment.