সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / শিশুর ডায়রিয়ায় করণীয়

শিশুর ডায়রিয়ায় করণীয়

শিশুর ডায়রিয়ায় করণীয়

এই রোদ এই বৃষ্টিতে নাজেহাল সব বয়সী মানুষ। প্রচণ্ড গরমে ঘেমে নেয়ে শেষ, আবার বৃষ্টিভেজা আবহাওয়ায় স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। এই সময়ে নবজাতক থেকে শুরু করে সব শিশুর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। পানি বা খাদ্যবাহিত কারণে শিশুর ডায়রিয়া হতে পারে। ডায়রিয়ার সবচেয়ে বড় জটিলতা হল পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতা হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে। অস্থিরতা দেখা দেয়, প্রস্রাব কমে যায় এমনকি শিশু অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে শিশুর বার বার পাতলা পায়খানা করবে। এক বছরের নিচে বাচ্চাদের সবুজ পায়খানা বা সঙ্গে মিউকাস থাকতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে শিশুকে যতদ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবস্থা নিলে শিশু দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে এমনিই ভালো হয়ে যাবে। তবে লক্ষণ দেখে আগেই নিশ্চিত হয়ে নিন তার ডায়রিয়া হয়েছে কিনা?

ডায়রিয়ার লক্ষণ

শিশুর অস্থির ভাব বেড়ে যাবে, খিটখিটে মেজাজ দেখাবে বা নিস্তেজ হয়ে যাবে। বার বার পাতলা পায়খানা হবে, বমিও করতে পারে। চোখ কোটরে ঢুকে যাবে। তৃষ্ণার্ত ভাব থাকতে পারে বা একেবারেই খেতে ইচ্ছ করবে না। শরীরের চামড়া ঢিলে হয়ে যাবে।

করণীয়

পানিশূন্যতা রোধ করার জন্য খাবার স্যালাইন ও অন্যান্য তরল খাবার দিন। পানি, ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, ডাবের পানি, টক দই, ঘোল, ফলের রস ও লবণ-গুড়ের শরবত খেতে দিতে পারেন। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে যে পানি ও লবণ বের হয়ে যায় স্যালাইন তা পূরণ করে। এক্ষেত্রে এক চিমটি লবণ, একমুঠো গুড় আর আধা লিটার পানির মিশ্রণে তৈরি খাবার স্যালাইন অর্থ্যাত্ হাতে বানানো স্যালাইন সবচেয়ে উপযোগী। তবে দেহের শক্তি পুনরায় ফিরিয়ে আনেতে অবশ্যই তাকে স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে। খিচুড়ি, ডাল-ভাত, মাছ, মাংস, ডিম, সবজি, পাকা কলা, তাজা ফল এবং পরিষ্কার সব ধরনের খাবার শিশু খেতে পারবে। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে কাঁচাকলা সিদ্ধ করে গরম ভাতের সঙ্গে চটকিয়ে দিন। কাঁচাকলা ডায়রিয়ার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে। খাবার রান্না করার সময় তেল দিতে ভুলবেন না। সারা দিন কমপক্ষে ছয়বার অল্প অল্প করে বারবার খাবার দিলে শিশুর পক্ষে তা হজম করা সহজ হবে।

১৫ দিনের জন্য জিংক সিরাপ বা বড়ি দিতে পারেন। শিশুর বয়স ছয় মাসের কম হলে বারবার মায়ের দুধ খেতে দিতে হবে। সঙ্গে স্যালাইন অবশ্যই দিতে হবে। তবে খুব বেশি পরিমাণ পানির মতো পাতলা পায়খানা হলে, বারবার বমি হলে, স্যালাইন খেয়ে না রাখতে পারলে, স্যালাইন বা অন্যান্য খাবার খেতে না পারলে, অতিরিক্ত তৃষ্ণা ভাব থাকলে, ডায়রিয়ার সঙ্গে জ্বর থাকলে, পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে, ১৪ দিনের বেশি ডায়রিয়া থাকলে শিশুকে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

ডায়রিয়ার সঙ্গে জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দিতে হতে পারে। বমি হলে ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধ উপযোগী। তবে কোনো ওষুধই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত খাওয়ানো উচিত্ হবে না। এসময় ফুটানো পানি দিয়ে শিশুর মুখ-হাত ধুতে হবে। শিশুর জন্য ব্যবহার্য বাটি, চামচ, মগও ফুটানো পানিতে ধোয়া উত্তম। প্রয়োজনে ফুটানো পানি দিয়ে শিশুকে গোসল করানো ভালো। ডায়রিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে শিশুকে কোনোভাবেই বাসি বা বাইরের খাবার খাওয়ানো ঠিক নয়।

বাংলামেইল২৪ডটকম/টিটি/ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/