বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অংশে সম্মিলিত অভিযান শুরু করবে সেনাবাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ অভিযান শুরু করা হবে।’
সন্ত্রাসীরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকেও একইসময় তাদের অংশে অভিযান পরিচালনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘জায়গাটি এতোই দুর্গম যে সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স পৌঁছানো সম্ভব হলেও অভিযান শুরু করতে একটু সময় লাগছে। সেনাবাহিনী এবং বিজিবি সদস্যদের এরইমধ্যে হেলিকপ্টারে এবং অন্যান্য মাধ্যমে বান্দরবানের থানচি এলাকায় পৌঁছানো হয়েছে।’ বুধবার মহাপরিচালক ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরের ব্রিফিংয়ে একথা জানান।
আজিজ আহমেদ বলেন, ‘এরমধ্যে দুর্গম ওই এলাকা থেকে আরাকান আর্মির গুলিতে আহত নায়েক জাকিরকে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিত্সকরা তার সঙ্গে কথা বলে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আপাতত তার শরীর থেকে রক্তপাত থামানো গেছে।’
প্রসঙ্গত, সকালে বান্দরবানের থানচির বড়মদক এলাকায় বিজিবির টহল দলের ওপর আরাকান আর্মির সন্ত্রাসীরা হামলা করলে বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। সেসময় বিজিবির নায়েক জাকির আহত হন।
বিজিবির ১০ সদস্যের এবং সেনাবাহিনীর ১০ সদস্যের আরেকটি দল টহল দেয়ার সময় পরস্পরকে পেরিয়ে যাওয়ার সময় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সদস্যরা অতর্কিত হামলা করে।
এর আগে মঙ্গলবার বিজিবির একটি দল সন্ত্রাসী গ্রুপের ৬টি ঘোড়া আটক করে। আরেকটি দল আটক করে আরো ৪টি ঘোড়া।
‘এর সূত্র ধরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে,’ বলে বিজিবি মহাপরিচালক জেনারেল আজিজ ধারণা করছেন।
বান্দরবানের ওই এলাকাটি এতোই দুর্গম যে ৪৩৯ কিলোমিটার এলাকায় কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষ বাস করলেও সরকারিভাবে কোনো স্থাপনা নেই। গতবছর পর্যন্ত এরকম অরক্ষিত সীমান্ত ছিলো ৫৩৯ কিলোমিটার। তবে এক বছরে ১০০ কিলোমিটার এলাকায় বিজিবি তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছে বিজিবি এবং সেনাবাহিনী। এরকম একটি অভিযানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অপহৃত দু’সদস্যকে উদ্ধার করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বিজিবি।
– ব্রেকিংনিউজডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.