সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে দুই বাংলাদেশি নারী হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবরে পাওয়া গেছে।
তবে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, এখনও পর্যন্ত কেউ নিহত হওয়ার খবর তারা পায়নি। ৮ হাজি আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সৌদিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
‘তবে আহতদের মধ্যে ৮ বাংলাদেশি হাজিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজির অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
আহত বাকি বাংলাদেশি হাজিদের মিনার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে নিহত ও আহতদের সংখ্যা বেড়েই চলছে বলে জানান জেদ্দা কনস্যুলেটের কনস্যুলার (হজ) মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, এখনও সৌদি কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত তালিকা করেনি। তাই পূর্ণাঙ্গ তালিকা আমরা পাইনি। তবে হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশিরা আছেন।
তিনি জানান, মক্কা ও মিনার হাসপাতালগুলোতে খবর নিচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দা মিশন। হতাহতের মধ্যে বাংলাদেশিরা আছেন।
এদিকে জানা যায়, পদদলিত হয়ে নিহতদের মধ্যে জামালপুরের ফিরোজা খানম ও সুনামগঞ্জের জুলিয়া হুদা নামে দুই নারী হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি শাহজাহান চৌধুরী জানান, সুনামগঞ্জ সদরের হাজীপাড়া এলাকার বদরুল হুদা সস্ত্রীক হজ পালনের জন্য সৌদি গিয়েছেন। তাদের সঙ্গে পরিবারের আরও দুই সদস্য হজ পালনে গিয়েছেন সৌদি।
বৃহস্পতিবার অসুস্থবোধ করায় মিনায় ‘শয়তান স্তম্ভে’ পাথর নিক্ষেপ করতে যাননি বদরুল। তবে তার স্ত্রী জুলিয়াসহ অন্যান্যরা মিনায় যান। পাথর নিক্ষেপের সময় গরমের মধ্যে জুলিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন।
উদ্ধার করে মিনার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের স্বামী বদরুল হুদা দেশে তার ভাই সুনামগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি খায়রুল হুদা চপলকে ফোনে জুলিয়ার মৃত্যুর খবর দেন বলে জানিয়েছেন শাহজাহান চৌধুরী।
এ বিষয়ে দূতাবাস কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এ ধরনের অনেক খবর আমাদের কাছে আসছে। তবে এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
পুরোপুরি তথ্য পাওয়ার পর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
– বাংলাদেশপ্রেসডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.