এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
অল্প বৃষ্টিতে ফের লবণ চাষীরা মাথায় হাত দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে লবণ সংশ্লিষ্ট কর্মজীবি শ্রমিকরা। বেশ কয়েকদিন পূর্বে টানা দু’দিনের বৃষ্টিপাতের পরপরই ক’দিনের প্রচন্ড তাপে বুকভরা আশা নিয়ে মাঠে নেমেছিলো শ্রমিকরা। কিন্তু ফের এক পসলা বৃষ্টিতে ভেসে গেল তাদের কাঙ্কিত স্বপ্ন।
জানা যায়, এক পশলা বৃষ্টির কারণে লবণ মাঠে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয় চাষীরা। বলতে গেলে- লেবারের টাকা লোকসান, মাঠে কিছু কিছু লবণ উৎপাদনের মুখে পড়েছিলো সেটিও নষ্টের পথে, চাষীরা ঋণী হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক ভাবে, লবণ উৎপাদন না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে উভয়রা। ৭০ ভাগ লোক বর্তমানে লবণের উপর নির্ভরশীল। লবণ উৎপাদন করতে না পারায় লবণের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজন নানা ভাবে হিমশিম খাচ্ছে, পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দিনাতিপাত হয়ে পড়েছে। অনেকটাই চাষীদের কপালে হাত দিয়েছে। ৫ মাস মেয়াদী দু’শত মণ লবণের আশায় মাঠে নেমেছিলো এসব চাষীরা। লবণ মৌসুম ও আবহাওয়ার পরিবেশ সুষ্ঠু না হওয়াতেই এসব চাষীরা প্রতিকানিতে লবণ পেয়েছে মাত্র শত মণ করে। বাকী লবণ বলতে গেলেই লোকসানের কবলে।
লবণের সাথে জড়িত ট্রাক শ্রমিক, বোট শ্রমিক, মিল শ্রমিক ও মাঠ পর্যায়ের শ্রমিকরা নানা ভাবে বেকায়দায় পড়েছে। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে জেলার শিল্প নগরী খ্যাত ইসলামপুর লবণ মিল এলাকায়। সেখানে হাজী সল্ট ক্রাসিং ইন্ডাষ্ট্রির মালিক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা সহ-সভাপতি জাবেদ আল মামুনের সাথে কথা হলে উপরোক্ত কথাগুলো উঠে আসে। তিনি আক্ষেপ কণ্ঠে জানান- তার নিজের বহু কানি লবণ মাঠে ও ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে বলে জানান।
কক্সবাজার সদর উপজেলার উপকূলীয় এলাকা জুড়ে শত শত একর লবণ মাঠে গেল বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পরেও ফের নতুন করে মাঠে নামতে শুরু করেছিলো আশাহত চাষীরা। লবণে চাষীদের হাজারও স্বপ্ন নিয়ে নতুন আঙ্গিকে তারা মাঠে কাজ করতে আগ্রহ হয়ে উঠেছিল।
জানা যায়, প্রায় সপ্তাহ পূর্বে টানা দু’দিনের বৃষ্টিপাতে ইসলামপুর, পোকখালীর গোমাতলী, চৌফলদন্ডী এলাকার ব্যাপক লবণ মাঠে কালো পলিথিন নিয়ে এবার মাঠে অবস্থান করেছিল চাষীরা। লবণ চাষীদের অধিক আশা এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়ে পড়েছে। আকাশ ভেঙ্গে মাটিতে পড়ার উপক্রম বললেই চলে। বৃষ্টিপাতে বহুজন চাষীর লবণ বৃষ্টির পানিতে ভেসে একাকার হয়ে পড়ে। এতে করে তারা বেকাদায় পড়েছে। আবার একটু আবহাওয়া ভাল হওয়ায় চাষীরা লবণ মাঠে পূর্বের ক্ষতি পুষিয়ে তুলার জন্য নিরবচ্ছিন্ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে চাষীদের মাঝে আবারো হতাশার কালো ছায়া নেমে এসেছে।
You must be logged in to post a comment.