সার্বিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তে আশ্রয় নেয়া অভিবাসীদের প্রতি হাঙ্গেরির পুলিশের আচরণে স্তম্ভিত হয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। অভিবাসীদের উপর হাঙ্গেরির পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যাবহার করাকে অনঅভিপ্রেত বলেও উল্লেখ করেন বান কি মুন।
প্রসঙ্গত, হাঙ্গেরি-সার্বিয়া সীমান্ত থেকে জোরপূর্বক অভিবাসীদের পিছু হটাতে জল কামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে হাঙ্গেরীয় পুলিশ।
সার্বিয়ার সীমান্তবর্তী শহর হরগোসে শত শত অভিবসাী ভিড় করে হাঙ্গেরিতে ঢুকতে চাইলে পুলিশ এ ব্যাবস্থা নেয়। টিয়ার গ্যাস ও জলকামানের নিক্ষেপের ফলে সীমান্তের ওপারে থাকা অভিবাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশি আক্রমণের জবাবে অভিবাসীরাও পাথর ও পানির বোতল ছুঁড়েছে।
অভিবাসী সমস্যা কীভাবে সমাধান করা হযে, ইউরোপের নেতাদের মধ্যে এ আলোচনা চলার মধ্যেই হাজার হাজার অভিবাসী জার্মানিতে প্রবেশ করতে চাইছে। প্রায় দশ হাজার অভিবাসী হাঙ্গেরি দিয়ে প্রবেশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শেনজেন জোনে ঢুকতে চাইছে, যেটি মূলত এ অঞ্চলের দেশগুলোতে ভ্রমনের বিশেষ এক সুবিধা।
হাঙ্গেরি সার্বিয়ার সাথে সীমান্ত ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে। দেশটি ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার আদালত স্থাপন করেছে।
হাঙ্গেরি থেকে সার্বিয়ার সীমান্তের ভেতরে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপের কড়া সামলোচনা করেছেন সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসব ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আহতদের সার্বিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাঙ্গেরি দাবি করেছে অভিবাসীদের ছোঁড়া পাথর ও বোতল নিক্ষেপের ফলে তাদের অন্তত ২০ জন পুলিশ আহত হয়েছে।
– প্রিয় ডট কম, ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.