জেলের ঘানিই টানতে হচ্ছে তাদের। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে হুট করে মাঠে ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা ‘পুশি রায়ট’ দলের চার সদস্যকে ১৫ দিনের জন্য জেল দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, আগামী তিন বছর রাশিয়ার কোনো খেলা মাঠে বসেও দেখতে পারবেন না তারা।
ঘটনাটা গত রবিবারের। রাশিয়ার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে তখন বিশ্বকাপের ফাইনাল চলে। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ফ্রান্সের মুখোমুখি ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের বয়স তখন ৫২ মিনিট। কড়া নিরাপত্তার বলয়ে থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে ফ্রান্সের গোলপোস্টের পেছন দিয়ে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েন ওই চারজন।
পরিস্থিতি দেখে হতবাক হয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। ২৫ সেকেন্ডের জন্য খেলাও বন্ধ রাখা হয়। পুলিশি পোশাকে চার সদস্যের একজনকে সাইডলাইনে নিরাপত্তারক্ষীরা আটকে রাখতে পারলেও বাকি তিনজন মাঠে ঢুকে পড়েন।
এক নারী সদস্য ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে গিয়ে হাত মেলান। আরেক পুরুষ সদস্য ক্রোয়েশিয়ার লোভরেনের কাছে ছুটে যান। পরবর্তীতে টেনে-হিঁচড়ে সবাইকে মাঠ থেকে বের করা হলে আবারও খেলা শুরু করা হয়। এই ঘটনার জন্যই কড়া শাস্তি পাচ্ছেন তারা। ১৫ দিনের জেল আর তিন বছর দেশের কোনো খেলা না দেখতে পারার শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে চার সদস্যকে।
রাশিয়ার ‘পুশি রায়ট’ দলের এই চার সদস্যের পরিচয়ও নিশ্চিত করা হয়েছে। একমাত্র পুরুষ সদস্যের নাম পিতর ভেরজিলভ। এ ছাড়া তিন নারী সদস্য হলেন, ভেরুনিকা নিকুলশিনা, অলগা পাখতুসোভা ও অলগা কুরাসোভা। তারা পুতিনবিরোধী।
২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গ্যালারিতেই উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্টসহ বিশ্বের আরও নামিদামি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন। মূলত, নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাতেই এমন কাণ্ড ঘটান পুশি রায়ট সদস্যরা। যাদের উদ্দেশ্য ছিল বাকস্বাধীনতার পক্ষে বার্তা।
সূত্র:priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.