মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
নাম লামা সদর ইউনিয়ন। যে কারোই শুনে হয়ত ধারনা হবে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন হতে অনেক বেশী আধুনিক ও উন্নত। নাগরিক সুযোগ সুবিধা অনেক। কিন্তু বাস্তবতা বিপরীত। নামে সদর ইউনিয়ন হলেও কোন দিক থেকে নেই সড়ক পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা। মাতামুহুরী নদী বাকঁ ঘিরে রেখেছে পুরো ইউনিয়নকে। যেদিক থেকে যাবেন নৌকা দিয়ে বা হেঁটে নদী পার হতে হবে। ১৯২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর লামা থানা গঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকার শাসনামলে প্রশাসন বিকেন্দ্রিকরণের আওতায় দেশের সকল মহকুমাকে বিলুপ্ত করে জেলা ঘোষণা করে। সরকারী প্রজ্ঞাপনে লামাকে জেলা ঘোষণা করা হলেও মাত্র ৩ দিন স্থায়ী হয়। পরে লামা জেলা উপজেলা পর্যায়ে একধাপ নেমে যায়। সৃষ্টির ৯৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আলোর মূখ দেখেনি লামা সদর ইউপি’র যোগাযোগ ব্যবস্থার।
বৈল্ল্যারচর এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম(৪৯) বলেন, অংহ্লারী পাড়া হতে বৈল্ল্যারচর হয়ে পোপা সড়ক দিয়ে লামা সদর ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ড ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডের ২০ হাজার জনগণ চলাফেরা করে। এই এলাকায় প্রচুর শাক সবজি, ফলমূল, ধান, কলা, মরিচ, তামাক ও বাঁশ কাঠ উত্পাদন হয়। শুধু মাত্র রাস্তা না থাকায় তিনের একভাগ দাম পায়না কৃষকরা।
তাছাড়া রোগাক্রান্ত লোকজন চিকিত্সা সেবায় চরম ভুগান্তির শিকার হয়। অত্র এলাকা থেকে প্রায় ৮শত ছাত্র-ছাত্রী স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। রাস্তা ও ১টি ব্রিজের কারণে আমরা ২০ হাজার মানুষ কষ্ট পাচ্ছি। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করে অত্র জনপদের মানুষের কষ্ট লাঘব করতে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জনদূর্ভোগ বিষয়ে লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, অংহ্লারী পাড়া ব্রিজ ও অসম্পূর্ণ রাস্তার কাজ বর্ষা মৌসুম শেষে শুরু করা হবে। দ্রুত কাজ শুরু করতে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ বলেন, সদর ইউনিয়ন হলেও লামা সদর ইউনিয়ন দূর্গম এলাকা। এখনো সদর ইউনিয়নের কোন স্থান দিয়ে সড়ক পথে যাওয়া যায়না। লামা সদর ইউনিয়নকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে মাতামুহুরী নদী। সংযোগ ব্রিজটি নির্মাণে উপজেলা প্রশাসন থেকে আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে অতিশয় যোগাযোগ করব।
You must be logged in to post a comment.