সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / তথ্য ও প্রযুক্তি / অফনেটের জন্য কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দেয়নি অপারেটররা: মহিউদ্দীন আহমেদ

অফনেটের জন্য কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দেয়নি অপারেটররা: মহিউদ্দীন আহমেদ

ছবি: সংগৃহীত।

টেলিকম অপারেটরদের নেটওয়ার্কসহ অন্যান্য কারিগরি সমস্যার কারণে ফোন কলে কথা বলার সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া (কলড্রপ) কলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিটিআরসির তথ্যমতে সম্প্রতি প্রায় ১০ কোটি মিনিট ফেরত দিয়েছে দেশের শীর্ষ তিন অপারেটর জিপি, বাংলালিংক ও রবি। তবে এই ক্ষতিপূরণের মধ্যে অন্য অপারেটরের জন্য (অফনেট) কোন ক্ষতিপূরণ দেয়নি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ।

আজ সোমবার তিনি প্রিয়.কমকে বলেন, ‘গত ১১ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে দেখতে পেলাম অপারেটররা গত ৩ মাসে কলড্রপের ক্ষতিপূরণ গ্রাহককে ফিরিয়ে দিচ্ছে। একটি পরিসংখ্যান বিটিআরসিতে তারা জমা দিয়েছে। যার মধ্যে সরকার নিয়ন্ত্রিত অপারেটর টেলিটক কোন পরিসংখ্যান জমা দেয়নি। এরমধ্যে বাংলালিংক ৬ কোটি ২৩ লাখ মিনিট, গ্রামীণ ফোন ২ কোটি ৩৬ লক্ষ মিনিট, রবি ১ কোটি ৩৮ লাখ মিনিট ক্ষতি পূরণ দিয়েছে বলে দাবি করছে। এখানে একটি শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে বলে আমরা মনে করি। তা হচ্ছে শুধুমাত্র নিজস্ব নেটওয়ার্ককে (অন নেট) কেটে নেওয়া কলের জন্যই গ্রাহকদের এই ক্ষতিপূরণ। অফ নেটের জন্য নয় বা অন্য অপারেটরের জন্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে তাদের নিজস্ব হিসাব অনুযায়ী গ্রামীণফোনে প্রতি মাসে কলড্রপ হয়েছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ মিনিট। রবি কলড্রপ হয়েছে ৫ কোটি ১৬ লাখ মিনিট। বাংলালিংকের কলড্রপ হয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ মিনিট। কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দেবার কথা বলা হয়েছিল ২০১৪ সালে। ঐ সময়ে একটি অপারেটর সাময়িকভাবে কিছু কল মিনিট ফেরত দিলেও ২০১৫ সাল থেকে সব অপারেটরই তা বন্ধ করে দেয়। গত বৎসর এ নিয়ে আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেন-দরবার, লেখালেখি ও গণমাধ্যম সোচ্চার হলে বিটিআরসির কলড্রপ ফেরত প্রদান বাধ্যতামূলক করে। কিন্তু এ জরিমানা আদায় বা স্বচ্ছতা বিটিআরসি নিশ্চিত করতে না পারায় গ্রাহকরা প্রকৃতপক্ষে কোন সুফলই পাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কল ড্রপ যদিও আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত এবং তার পরিমাণ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশেও এর পরিমাণ বিটিআরসি সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু অপারেটররা এ সকল নিয়ম কানুন না মেনে নিজেদের ইচ্ছেমতো কলড্রপ করে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। এর অন্যতম কারণ কি পরিমাণ কলড্রপ হচ্ছে বা নেটওয়ার্ক ভেঙে যাচ্ছে তার পরিমাপ করার কোন সক্ষমতাই বিটিআরসির কাছে নেই। তারা অপারেটরদের দিয়ে পরিসংখ্যান থেকেই হিসাব করে থাকে। অর্থাৎ যে অপরাধী তাকেই বিচার করতে দেওয়া হলো।’

এই বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট (কমিউনিকেশন অ্যান্ড কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটি) ইকরাম কবীর প্রিয়.কমকে বলেন, ‘কলড্রপ ক্ষতিপূরণ যে একবারই দিতে হবে এমন কোন নির্দেশনা নেই। আর এটাতো একটা চলমান প্রক্রিয়া। এবার অন নেট দেয়া হয়েছে এরপর যে অফনেট দেয়া হবে না তাতো কেউ বলেনি।’

প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর নিজের ফেসবুক পেইজে এই স্ট্যাটাসে কলড্রপের ক্ষতিপূরণ না দিলে জানুয়ারি থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কড়া হুশিয়ারি দিয়েছিলেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। প্রথম দিকে ২০১৫ সালের অক্টোবরে প্রথম প্রতিটি কলড্রপের বিপরীতে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিলেও পরে কয়েক দফা আলোচনার পর দিনে এক ড্রপকে সহনীয় বললেও দ্বিতীয় ড্রপের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং ‘এক কল মিনিট’ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।

সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতার মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতা হাজী নূর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/