মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ত্রাণের ঢেউটিন বিক্রির অভিযোগে ইউপি মেম্বার সন্তোষ কান্তি দাশ সহ দুইজনের নামে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার।
এই ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাদী হয়ে মেম্বার সন্তোষ কান্তি দাশ সহ সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মো. নূর এর স্ত্রী আনছারু বেগম (২৮) এর নামে মামলা দায়ের করেন। আলীকদম থানা মামলা নং- ০২, ১২ জুলাই ২০১৮ইং।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিক উল্লাহ্ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আমতলী পাড়া থেকে চোরাই পথে বিক্রি হওয়া ৪ বান ত্রাণের ঢেউটিন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত ৬ জুলাই শুক্রবার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে আলীকদম উপজেলায় ৫২ বান ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। দুঃস্থদের তালিকায় একবান ঢেউটিন ও নগদ ৩ হাজার টাকা পান ১নং আলীকদম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দানু সর্দার পাড়া আমিরুজ্জামানের স্ত্রী গুলতাজ বেগম। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিস থেকে যথারীতি ত্রাণের ঢেউটিন ও নগদ অর্থ গ্রহণ করেন গুলতাজ বেগম।
এসব ঢেউটিন ও নগদ অর্থ গুলতাজ বেগমের কাছ থেকে কেড়ে নেয় আলীকদম ইউপি’র ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার সন্তোষ কান্তি দাশ। বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন গুলতাজ বেগম। এ অভিযোগের সূত্রধরে যুবলীগ সভাপতি জিহাদ চৌধুরী ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সৌরভ পাল ডালিম ত্রাণের ঢেউটিনগুলি উদ্ধারে অনুসন্ধান শুরু করেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি সৌরভ পাল ডালিম জানান, তারা অনুসন্ধানের একপর্যায়ে এসব ঢেউটিন ৫নং ওয়ার্ডের জনৈক আনছারু বেগমের বাড়িতে রক্ষিত আছে বলে জানতে পারেন। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়িমং মার্মাসহ নেতৃস্থানীয় অনেকেই সেখানে উপস্থিত হন। ঘটনাস্থল আনছারু বেগমের বাড়ির সিলিং থেকে পুলিশ ৪ বান ত্রাণের ঢেউটিন উদ্ধার করে।
আনছারু বেগম জানান, তিনি ইউপি মেম্বার সন্তোষ কান্তি দাশ থেকে প্রতিবান ৩ হাজার দরে ৯ হাজার টাকায় তিন ৩ বান ত্রাণের ঢেউটিন ক্রয় করেন। চার বানের মধ্যে একবান সে নিজে ত্রাণ হিসেবে পেয়েছেন।
অভিযুক্ত মেম্বার সন্তোষ কান্তি দাশ সাংবাদিকদের বলেন, ত্রাণের ঢেউটিনগুলি তিনি বিক্রি করেননি। তবে যারা ত্রাণ পেয়েছিল তাদের বিক্রির সময় তিনি মধ্যস্থতা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.