শহীদুল্লাহ কায়সার; কক্সভিউ :
কক্সবাজার জেলা টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর বহিস্কার চাইলো হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। টেকনাফ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইউনুছ বাঙালির উপর হামলা, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থানের প্রসঙ্গ তুলেই এই বহিস্কারের দাবি উঠলো। হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সংগঠনটির মনোনীত প্রার্থী এইচ. কে আনোয়ার এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ’র সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিকদার তুললেন এই দাবি।
১২ মার্চ সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলের রেস্তোঁরায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মোঃ আলীর বহিস্কারাদেশ চাইলেন তাঁরা। কেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর মতো একজন প্রবীণ রাজনীতিকের বহিস্কার চাইছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উল্লিখিত আওয়ামীলীগ নেতাদ্বয় বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী চেয়েছিলেন নিজ ছেলে মাহবুব মোর্শেদ দলীয় মনোনয়ন পাক। সেই আশা পূর্ণ না হওয়ায় তিনি প্রকাশ্যে হ্নীলায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কাজ করছেন অঘোষিত জামাত প্রার্থী জহির উদ্দিনের পক্ষে। একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে তিনি এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। ফলে হ্নীলায় আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর বহিস্কারাদেশের বিকল্প নেই। ইউনুছ বাঙালির প্রসঙ্গ টেনে তাঁরা বলেন, ১১ মার্চ তাঁর উপর হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর দু’ছেলে। তাঁদের একজন উপজেলা আওয়ামীলীগ’র বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ। অপরজন আওয়ামীলীগ সমর্থক রাশেদ মোহাম্মদ আলী। শুধুমাত্র দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারকাজে অংশগ্রহণের কারণে এই হামলা চালানো হয়।
দলীয় মনোনয়নের বিষয়েও এইচ.কে আনোয়ারের পক্ষে ইউনুছ বাঙালীর অবস্থান ছিল স্পষ্ট। এ কারণে জমানো ক্ষোভের প্রকাশ ঘটাতে এই হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত ইউনুছ বাঙালীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
You must be logged in to post a comment.