সরকারের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ আজ তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও জৌলুস হারিয়ে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু তারা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেনি। ইসলাম প্রিয় নতুন প্রজন্মরা মনে করছেন, জামায়াতে যুদ্ধাপরাধী আছে কিন্তু জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল নয়। দলটির নেতাদের একাংশ স্বাধীনতাবিরোধী ছিল তাই বলে পুরোদলকে দায়ী করা ঠিক নয়। তাদের ও ভালো নেতা রয়েছে। তাই তারা স্থানীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে জনগণের পাশে থাকতে চায়। দলীয় প্রতীক এবং দলীয় পরিচয়ে নির্বাচন করতে না পারলে স্বতন্ত্র অথবা জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে জামায়াত। এক্ষেত্রে কক্সবাজারের উখিয়ায় জাতীয়, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সব সময় বিএনপিকে ছাড় দিয়ে আসছে। এতে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করতে দেখা যায়।
এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপিকে আর ছাড় দেয়া হবেনা বলে তাদের দলীয় সূত্রে জানা গেছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে উখিয়া রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি হলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে আহমদ হোসেনের জামাতা ও উখিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মৌলানা আবুল ফজল। হলদিয়া পালং ইউনিয়নের জামায়াতের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন, উখিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মৌলানা সোলতান আহমদ ও অধ্যক্ষ মৌলানা রহমত উল্লাহ। এক্ষেত্রে সেক্রেটারী সোলতান আহমদের প্রার্থীতার ব্যাপারে তার সমর্থকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উপকূলীয় এলাকা জালিয়া পালং ইউনিয়নের জামায়াতের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, শহীদ হাফেজ আবু নাছেরের বড় ভাই মৌলানা আবুল কালাম আজাদ অথবা তার ছোট ভাই আবুল আলা আজাদ ও শিক্ষক হাফেজ ইদ্রীস। এক্ষেত্রে শহীদ আবু নাছেরের বড় অথবা ছোট ভাইকে চুড়ান্ত করা হতে পারে বলে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। উখিয়া সদর গুরুত্বপূর্ণ রাজাপালং ইউনিয়নের জন্য জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন, সাবেক উপজেলা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় ফেমাস সংসদের প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মহিউদ্দিন চৌধুরী। জামায়াতের একাংশের দাবী যদি জামায়াতের পক্ষ থেকে ব্যাবসায়ী সমিতির নেতা একরাম মার্কেটের স্বত্বাধীকারি একরামুল হককে প্রার্থী করা যায়, অথবা পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক ও সাংবাদিক আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ সিকদারকে তাহলে অন্যান্য দলের প্রার্থীদের সাথে দারুণ ফাইট হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। পালংখালী ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন, বিশিষ্ট দানবীর হাফেজ শাহ আলম ও কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ শাহ জাহান।
You must be logged in to post a comment.