ঈদগাঁওকে উপজেলা ঘোষণা করা হতে পারে আজ

নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও :

কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ঈদগাঁও ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, পোকখালী, জালালাবাদকে নিয়ে ঈদগাঁও নামক একটি স্বতন্ত্র ও আলাদা উপজেলা ঘোষণা হতে যাচ্ছে আজ। এমন খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছেন বৃহত্তর এলাকার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্টি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়্যাল মাধ্যমে অনুষ্ঠিতব্য প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় নির্বাহী কমিটি’র (নিকার) আজকের সভায় ঈদগাঁও’কে স্বতন্ত্র উপজেলা করার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবি উত্থাপিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও স্বতন্ত্র একটি উপজেলা উপজেলা হিসেবে যাত্রা শুরু করবে।

ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদ মহাসচিব ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল ফোরকান আহমদ, প্রধান সমন্বয়ক মাষ্টার নুরুল আজিম জানান, ২৬ জুলাই ঈদগাঁওকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, ঈদগাঁওকে উপজেলা গঠনের জন‍‍্য গত ২০১৯ সালের ২২ জুলাই কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কক্সবাজারের মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবর ০৫.২০.২২০০.২২২৪.০২.০৫.২০১৯ স্মারকমূলে প্রস্তাবের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।

পরবর্তীতে কক্সবাজারে মাননীয় জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন গত ৩০ জুলাই ২০১৯ তারিখে ০৫.২০.২২০০.১২৬.০০৪.০১১.২০১৯-৩৯৮ স্মারকমূলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুল মান্নান বরাবর চুড়ান্ত প্রতিবেদন করলে বিভাগীয় কমিশনার গত ৫ আগষ্ট ২০১৯ তারিখে ০৫.৪২.০০০০.০৪১.০৭.০১২.১৯-৪০৭ স্মারকমূলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঈদগাঁও’র কৃতিসন্তান হেলাল উদ্দীন আহমদের আন্তরিক চেষ্টায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ঈদগাঁওকে উপজেলা বাস্তবায়নের যাবতীয় দাপ্তরিক কাজ শেষ করে গত ২২ আগষ্ট ২০১৯ তারিখে ৪৬.০৪৬.০১৮.০০.০০.০৬৮.২০১৯-৬৭৪ স্মারকমূলে মন্ত্রী পরিষদ সচিব বরাবর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। যা পরবর্তী প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির( নিকার) সভায় চুড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। করোনা মহামারী কারণে গত দেড় বছর ধরে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় নির্বাহী কমিটি’র( নিকার) কোন সভা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি।

ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদ মহাসচিব লেঃ কর্ণেল ফোরকান জানান, প্রস্তাবিত ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়নের জন্য বাস্তবায়ন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মাস্টার নুরুল আজিমের অবদান কখনো ভুলবার নয়। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিয়মিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ঈদগাঁওবাসী চিরদিন তাঁর নিকট কৃতজ্ঞ থাকবে।

তিনি স্থানীয় সরকার সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদের ভূমিকাকে অবিস্মরণীয় উল্লেখ করে বলেন, হেলাল উদ্দীন না থাকলে ঈদগাঁওবাসীর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেত। তাঁর কৃতিত্বের কারণেই ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়ন আর স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তবতা।

এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল,স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম,স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, কক্সবাজার সদর -রামু আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সাবেক সাংসদ ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসন সাংসদ বেগম কানিজ ফাতেমা আহমদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, ডি আই জি চট্টগ্রাম রেঞ্জ, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, পুলিশ সুপার কক্সবাজার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদ সভাপতি ও জাতিসত্ত্বার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক নিযুক্ত হওয়ায় ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয়।চলমান করোনা পরিস্থিতির সহনীয় মাত্রা বিরাজ করলে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে সম্বর্ধিত করতে নাগরিক সম্বর্ধনার আয়োজন করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।