সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / ঈদগাঁওতে একটি স্লুইচগেইট অভিশাপে পরিণত : অপসারণের দাবী

ঈদগাঁওতে একটি স্লুইচগেইট অভিশাপে পরিণত : অপসারণের দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক; ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর চাঁন্দেরঘোনায় বহু লক্ষ টাকায় নির্মিত স্লুইচগেটটি এখন অভিশাপে পরিনত হয়ে পড়েছে। অতিসত্তর অপসারণের দাবী এলাকা বাসীর। স্লুইচগেট নির্মাণের পর থেকে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশী হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। চাহিদার চেয়ে ছোট এবং অপরিকল্পিত স্লুইচগেট নির্মাণের কারণে ভারী বৃষ্টিতে ভেঙ্গে গিয়ে চাষাবাদের জমি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে খালের পানি। ফলে চাঁন্দেরঘোনা নামার পাড়া থেকে কোনা পাড়া যাওয়ার রাস্তা ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বছর ধরে। শিক্ষার্থী, রোগী বা কেউ মৃত্যুবরণ করলে লাশ দাফনসহ স্থানীয়দের যাবতীয় কাজেকর্মে ভোগান্তির শেষ নেই। অথচ খবর নেই সংশ্লিষ্টদের।

স্থানীয় এক ব্যক্তির মতে, এই স্লুইচগেটটি দ্রুত অপসারণ করা জরুরী কেননা এটা নির্মাণের পর থেকে খালের পানি চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চাষা বাদের জমি ভাঙ্গনের মুখে বিলিন হওয়ার পাশা পাশি রাস্তাঘাট ভেঙ্গে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এক ভুক্তভোগীর মতে, স্লুইচগেটটি নির্মাণ স্পট সঠিক হয়নি ফলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশী হয়েছে স্থানীয়দের। স্লুইচগেটটি হয় অপসারণ না হয় স্থানান্তর করা একান্ত প্রয়োজন।

শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের মতে, স্লুইচগেটের কারণে বছর ধরে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন থাকায় শুস্ক মৌসুমে কোনরকম যাতায়াত করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে স্কুল-কলেজে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে পড়া লেখার চরম ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের। এমনকি এলাকার লোকজন চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগে পড়ছে।

ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম মাবু জানিয়েছেন, সুইচগেইটটি অপরিকল্পিত ও সঠিক জায়গায় নির্মাণ না করায় ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। চলাচলে নিদারুণ কষ্ট পাচ্ছে লোকজন।

তবে স্থানীয় মেম্বার মিজানুর রহমান মুহসিন জানান, দীর্ঘ এক যুগ পূর্বে নির্মিত হওয়া এই স্লুইচ গেইটটি এলাকাবাসীর জন্য অভিশাপে পরিণত হলো। অতিসত্বর সেটি অপসারণ করা হোক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় জমি নিয়ে বিরোধে জের ধরে ১ জনকে কুপিয়ে খুন, আহত ৭

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/