এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
জামায়াত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবীতে ডাকা সারা দেশব্যাপী হরতালের অংশ হিসেবে ককসবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে প্রভাব পড়েনি হরতালের। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মুখী দূরপাল্লার যানবাহনসহ ছোট ছোট গাড়ী স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে দেখা যায়।
১২ অক্টোবর সকাল থেকে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ বাসষ্টেশন পয়েন্টে বিশেষ টহল কার্যক্রম জোরদার রেখেছিল। সে সাথে ব্যাংক, বীমায় ও পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম চলছিল। বৃহত্তর ঈদগাঁওর প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল লোকজন প্রয়োজনীয় কাজেকর্মে পরিবহন নিয়ে যাতায়াত করছে অনায়াসে। বেশ কয়েকজন যানবাহন চালকের সাথে কথা হলে তারা, সকাল থেকে গাড়ী নিয়ে মহাসড়কের দু দিকেই ভাড়া মারছে বলে জানান। তবে ষ্টেশন এলাকায় বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার গুলোতে যাত্রী সাধারন মোটামুটি ভাবে লক্ষ্যনীয় ছিল। ঈদগাঁও বাজার এবং বাসষ্টেশন এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যে ও কোন প্রকার হরতালের প্রভাব পড়েতে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ খায়রুজ্জামান জানান, বিশৃংখলা ও ভাংচুর হয়নি, যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পুলিশী টহল অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সকাল ১১টার ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে হরতাল বিরোধী এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। এ মিছিলটি বাসষ্টেশন এলাকায় প্রদক্ষিণ করে।
এতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির চৌধুরী হুমু, ঈদগাঁও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এনাম রনি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নওশাদ মাহমুদ, বর্তমান সভাপতি রাশেল উদ্দিন রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুহেনা বিশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আবদুল্লাহ, ঈদগাঁও ছাত্রলীগ সভাপতি রাহুল পাল, সহ সভাপতি রফিক উদ্দিন, ছাত্রনেতা সাজ্জাদ হিরু, ইসলামাবাদ ছাত্রলীগ সহ সভাপতি ফরহাদ, নিখিল দাশ, সাধারণ সম্পাদক শোয়াইফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরানসহ বিভিন্ন ইউনিটের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। ওই সমাবেশে বক্তারা বলেন, যেখানে ধ্বংসাক্তক হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা, সেখানে কঠোর হস্তে পরিহত করতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়।।
You must be logged in to post a comment.