ঈদগাঁওতে ছাত্রলীগে সভাপতি, সম্পাদক পদে শেষ মুহুর্তে কারা আসছে : চলছে কানাঘুষা

নিজস্ব প্রতিবেদক; ঈদগাঁও :

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, দীর্ঘ দুই বছর পর ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা কমিটি বিলুপ্তির পরপরই নতুন কমিটিতে নিজেকে স্থান করে নিতে দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়েছে ঈদগাঁওর ছাত্রনেতাদের মাঝে।

তৃণমূল কর্মীদের মতে, দলের দু:সময়ে মাঠে অবস্থান করা পরিক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করলে আগামী দিনে ছাত্রলীগের অবস্থান হবে শক্তিশালী। অন্যথায় মাঠ চাঙ্গা রাখা কষ্টকর হবে বলেও মত প্রকাশ করেন তারা। ইতোমধ্য উপজেলা ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে নিজেদেরকে স্থান করে নিতে জেলা পর্যায়ে ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের কাছে ধর্ণা দিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘকাল মাঠে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে লড়াই করে যাওয়া পদ প্রত্যাশী ছাত্র নেতারা জেলা সদরে সার্বক্ষণিকভাবে অবস্থান করে চলছে। সে সাথে ছাত্রলীগের নতুন কান্ডারী হতে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। লক্ষ্য একটাই নতুন নেত্বত্বে হাল ধরা।

চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষনার খবরে তৃণমূল ছাত্রনেতা সহ দলীয় শুভাকাংখীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করছে। তবে নতুন নেতৃত্বে কারা আসছে এ নিয়ে সর্বত্রই স্থানজুড়েই চলছে কানাঘুষা। তবে কারা আসছে, কারা এলে সামনের দিনগুলোতে আন্দোলনে রাজপথ দখলে রাখতে পারবে এবং চাঙ্গা থাকবে মাঠ।

নব কমিটিতে আসতে ইতোমধ্যে জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে নেতারা। কঠিন সমীকরণে পড়েছে তৃণমূলের ছাত্রনেতারা। তৎমধ্যে সভাপতি পদে লবিং চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘসময় ধরে রাজপথে অবস্থান করা ছাত্রনেতা দেলোয়ার কামাল (চৌফলদন্ডী), ইমরানুল হক জিকন (ঈদগাঁও), আবুহেনা বিশাদ (ইসলামাবাদ), রাশেল উদ্দিন রাশেল (ঈদগাঁও)। তবে সাধারন সম্পাদক পদে ঈদগাঁও ফরিদ আহমদ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি ও ইসলামাবাদ ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহাগ, কাজী আবদুল্লাহ, ইরফানুল করিমও রয়েছে।

এলাকার রাজনীতিবীদদের মতে- সৎ, যোগ্য, নম্র, ভদ্র ও ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দু:সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে অবস্থান করা প্রকৃত ছাত্র নেতাদের হাতে কমিটি দেওয়া হোক। তবে এবার উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দু:সময়ের ত্যাগী ছাত্রনেতা দেলোয়ার কামাল, আবুহেনা বিশাদের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়। তবে জিকনও মোটামুটি অবস্থানে।

সাধারণ সম্পাদকে সাইফুল ইসলাম ও নীরবে প্রাণপর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় নেতা কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য যে, বিগত ২০১৬ সালের জুলাই মাসের ২৯ তারিখ ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন করেছিলেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ জয় এবং তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ।

গেল ৩১ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সূত্রে মতে, ছাত্রলীগ জেলা শাখার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

সূত্র মতে, প্রথম দফে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহমদ করিম সিকদার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, সদর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক, দ্বিতীয় দফে সভাপতি নওশাদ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, তৃতীয় দফে শেফায়েত হোসেন সাগর সভাপতি, আবুহেনা বিশাদ সাধারণ সম্পাদক। পরে সেফায়েত সরকারী চাকরীতে অর্ন্তভূক্ত হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে রাশেদ উদ্দিন রাশেলকে মনোনীত করা হয়। চতূর্থ দফে নতুন নেতৃত্বে কারা আসছে, এনিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মাঝে চলছে নানা কথাবার্তা।