এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
ঘূর্ণিঝড় মোরা’র পরবর্তী সময়ে টানা ২/৩ দিনের প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে জেলা সদরের গুরুত্ববহ বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারে উপসড়ক ও উপকূলীয় এলাকা গোমাতলীর পাড়া মহল্লা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়েছে সর্বশ্রেণি পেশার মানুষজন। এতে করে কর্মজীবিরা চরমভাবে বিপাকে পড়েছে।
জানা যায়, ১০ জুন থেকে টানা প্রচন্ড বৃষ্টিপাত আর তীব্র বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যার কারণে লোকজন বাড়ি থেকে কোন ভাবেই বাজার মুখী হতে পারেনি। পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টলার বৃহৎ বাণিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজারে দীর্ঘকাল পর প্রধান ডিসি সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও বাজারের অভ্যন্তরিন উপসড়ক সমূহ নিচু হয়ে যাওয়ার ফলে এ বৃষ্টিপাতে পানি জমে প্লাবিত হয়ে পড়ে। এমনকি ঈদগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়ক সহ বিভিন্ন উপসড়ক পানি বন্দি হয়ে পড়ে। যাতে করে রোযাদার মুসল্লি সহ ক্রেতা বিক্রেতারা মহা দূর্ভোগে পড়েছেন।
এছাড়াও বাজার এলাকায় সুষ্ট ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে জানান অনেকে। পাশাপাশি সদরের উপকূলীয় এলাকা পোকখালীর গোমাতলীতে প্রচন্ড বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে প্রত্যান্ত পাড়া মহল্লা পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ে। সেখানকার লোকজন কোন ভাবেই কর্মমুখী হতে পারছে না। চরম আতংকে দিনাতিপাত করছে উপকূলীয় এলাকার লোকজন।
এব্যাপারে পোকখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাহের আহমদের সাথে কথা হলে তিনি- গোমাতলীবাসী চরম অসহায়ত্ব বিরাজ করছে। ২/১ দিনের বৃষ্টিপাতে আর জোয়ারের পানিতে পুরো এলাকা পানি বন্দি হয়ে পড়েছে বলেও জানান। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টিও কামনা করেন তিনি।
অপরদিকে থেমে থেমে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও নদী পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে করে খালের আশ পাশ এলাকায় বাসাবাড়ি ও ঘরবাড়ির লোকজন চরমভাবে আতংকে রয়েছে। আবার বৃষ্টির সাথে তীব্র বাতাসের কারণে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের পাড়া মহল্লায় ছোট বড় গাছপালা ভেঙ্গে পড়লেও বড় ধরণের কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আবার ১১ জুন রাত আটটার পর থেকে বিদ্যুৎ চলে গেলেও পরদিন বিকেল চারদিকে বাজার এলাকায় পুনঃরায় বিদ্যুৎ চালু হয়।
অন্যদিকে ঈদগাঁও বাজারে আসন্ন ঈদ বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা পাড়া মহল্লার নর-নারী ক্রেতারা বিপাকে পড়েছে। এ বৃষ্টিপাতে ছোট বড় নানান ধরণের যানবাহন চলাচল করতে হিমশিম খাচ্ছে। আবার অনেকে বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে কথিত যানবাহন চালকরা যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে। সর্বপরি প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের ফলে দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়েছে ঈদগাঁও বাজারে নানা কাজকর্মে ছুটে আসা বৃহত্তর ঈদগাঁওর তথা ছয় ইউনিয়নের পাড়া মহল্লার সাধারণ লোকজন।
You must be logged in to post a comment.