সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / ঈদগাঁওতে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু : জনমনে খুশির আমেজ

ঈদগাঁওতে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু : জনমনে খুশির আমেজ

এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :

দীর্ঘবছর পর জেলা সদরের বহুল আলোচিত বানিজ্যিক এলাকা বৃহত্তর ঈদগাঁওতে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায়, জনমনে খুশির আমেজ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি সর্বশ্রেণি পেশার মানুষজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছে। ঈদগাঁওতে ফায়ার সার্ভিসের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের একটি টিম।

৩ এপ্রিল বিকেলে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের মেহেরঘোনার পশ্চিম পার্শ্বের ফায়ার সার্ভিসের এ সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন টিমে ছিলেন- কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ, সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পংকজ বড়ুয়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী আবদুল মালেক, ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই দেবাশীষ সরকার।

অপরদিকে স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঈদগাঁওর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম, ঈদগাঁও বিএনপির সভাপতি আবদু সালাম, কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা রাজিবুল হক চৌধুরী রিকু, ঈদগাহ পৌরসভা বাস্তবায়ন আন্দোলনের সভাপতি কাফি আনোয়ার, ঈদগাঁও ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল হক, ঈদগাঁও রিপোটার্স সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মোস্তফা শাহিদ সহ আরও অনেকে। এসময় ঈদগাঁও চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম ফায়ার সার্ভিসের জন্য নিজ থেকে জমি দেওয়ার ঘোষনা দেন।

প্রসঙ্গত- দীর্ঘকাল পর এবার ঈদগাঁওতে দমকল বাহিনী স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। ৩২ কিলোমিটার দূরবর্তী জেলা শহর কিংবা চকরিয়া থেকে ফায়ার সার্ভিস আসতে না আসতেই অগ্নিকান্ড কবলিত বসতবাড়ী কিংবা দোকান পাট পুড়ে আর ছারখার হবে না। অগ্নিকান্ডের ভয়াবহ কালো থাবায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে মাটি হয়ে যাচ্ছে প্রতিবছর।

এদিকে পোকখালী, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, চৌফলদন্ডী ও ঈদগাঁও’র প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ী সহ অন্যন্য জিসিন পত্র অগ্নিকান্ডের থাবায় ধংস হচ্ছে। দীর্ঘবছর ধরে একের পর এক আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে বৃহত্তর ঈদগাঁও’র তিন লক্ষাধিক জনগোষ্টীর একমাত্র দাবী একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের জন্য। কিন্তু সে দাবী বহু বছর পর বাস্তবায়নের পথে বললেই চলে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত  সাংবাদিক ও লেখকদের লেখনিতে জাগ্রত রয়েছে। ঈদগাঁও’র কোন এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেই কক্সবাজার কিংবা চকরিয়া থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কখনো সম্ভব নয়। ঐখান থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভানোর পূর্বেই সবকিছু পুড়েই ছারখার হয়ে যায়। এভাবে শত শত দরিদ্র পরিবার সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথের ভিখারি হচ্ছে। জেলা সদরের গুরুত্ব পূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা হিসাবে খ্যাত ঈদগাঁও বাজারে ব্যবসায়ীক লেনদেন সহ দোকান পাঠ এবং ঘর বাড়ী ও জনবসতি বেশী বলে জানা গেলেও একটি ফায়ার সার্ভিস স্থাপন অতীবও জরুরী এ এলাকায়। এমনকি ঈদগাঁওতে ফায়ার সার্ভিসের সম্ভাব্য স্থান প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সর্বশ্রেণী পেশার মানুষজনের মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

চট্টগ্রাম টেকনিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা সোয়াইফুল হক জানান- ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের বিষয়টি যদি বিবেচনা করা হয়, তাহলে ঈদগাঁওবাসী আশার আলো খুঁজে পাবে। গেল এসএসসি পরীক্ষার ফলপ্রাপ্তী অর্নব সরকার ইভু ও প্রিন্ট ব্যবসায়ী আবুল কালামের মতে, জেলা অন্যান্য উপজেলার চেয়ে ঈদগাঁও এলাকা আসলে উন্নয়নের দিক দিয়ে পিছিয়ে। তবে ফায়ার সার্ভিসের স্থান নির্ধারণের কথা শুনে আমরা উৎফুল্ল। অতি সত্তর বিবেচনা করে ঈদগাঁওতে ফায়ার সার্ভিস স্থাপন করলে বৃহত্তর এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতার মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতা হাজী নূর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/