এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার জেলা সদরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে মৌসুমী রসালো ফলফলাদীর সমারোহ দেখা দিয়েছে। আর এতে পুরো বাজার জুড়ে মুহু মুহু গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, দক্ষিণ চট্টলার ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারের যত্রতত্র স্থান সহ পাশ্ববর্তী উপবাজার সমূহে স্থানীয় কিংবা বাহির থেকে আসা রসালো ফলফলাদী নানা দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। তবে ক্রেতারা মোটামুটি ভাবে কিনছে আগ্রহ করে। তৎমধ্যে রসালো ফল কাঠাল, লিচু, তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস, আম সহ নানা মৌসুমী ফল বিক্রি হচ্ছে পুরো বাজার জুড়ে। অপরদিকে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো রকমারী মৌসুমী ফল বিক্রি করছে বলে অনেক ক্রেতাদের অভিযোগ। নানা ধরণের ফল-ফলাদি স্থানীয় হাট বাজারসহ প্রধান রাস্তাঘাট ও গ্রামাঞ্জলের ছোট খাট বাজারগুলোতে পসরা সাজিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে অবাধে। অথচ মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা নির্বিচারে ফরমালিনসহ বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিলিয়ে এসব মৌসুমী ফল বিক্রি করলেও প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেই।
সূত্রে প্রকাশ, যে কোন ফল পাকাতে এখন আর কেউ প্রকৃতির উপর নির্ভর করছেনা। অন্যদিকে মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই এক শ্রেণীর অসাধু মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা নানা ফল ফলাদি রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে দ্রুত পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করছে।
বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের ছোটখাট বাজারসহ ঈদগড়ের গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলোতে এলাকায় উৎপাদিত এবং আমদানী করা প্রচুর মৌসুমী ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফল বিক্রেতারা। সে সঙ্গে বেচাকেনাও চলছে পুরোদমে।
বাজারে ফল কিনতে আসা কয়েকজনের মতে, সব সময় শুনে আসছি মৌসুমী ফলে রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে বিক্রি করা হয়। এরপরেও অনেক সময় বাধ্য হয়ে কিছু ফল কিনতে হয়। তাই রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো এসব ফলমূল বাজারজাত বন্ধ করা সময়ের দাবী জানান ক্রেতারা।
You must be logged in to post a comment.