এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
দীর্ঘবছর ধরে জেলা সদরের ব্যস্তবহুল বাণিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁওর কাঁচাবাজার ও মুদি দোকানে নেই কোন প্রকার পণ্যের মূল্য তালিকা। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ক্রেতা সাধারণ। ঈদগাঁও বাজারের প্রধান কাঁচাবাজার, মুদি দোকানসহ পাশ্বর্বতী উপবাজারের দোকানগুলোতেও একই অবস্থা বললেই চলে।
দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যের তালিকা টাঙ্গানো হয়নি এখনো। এমনকি ঈদগাঁওর কাঁচাবাজারসহ পুরো বাজার এলাকায় এখনো পর্যন্ত পণ্যমূল্যের তালিকা না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন বৃহত্তর এলাকার বিশাল জনগোষ্টি। তারা এসব পণ্য সামগ্রী ন্যায্য দামে কিনতে পারছেনা। দামের ক্ষেত্রে কমবেশি নিচ্ছে বলে মনে করেন ক্রেতারা। এতে অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছে মানুষজন।
জানা যায়, কোন বছর রমজান মাসে ঈদগাঁও বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা দ্রব্যমূল্যের তালিকা না টাঙ্গানোর ফলে নানাভাবে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতারা।
আবার কাঁচাবাজার ও মুদি দোকানে ডিজিটাল ওজন পরিমাপক মেশিন স্থাপন ছাড়াও অনেক দোকানে পূর্বেকার আমলের সীল পালদা দিয়ে ওজন পরিমাপ করে চলছে দেদারছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদগাঁওর কাঁচাবাজার, মুদি দোকানসহ বেশিভাগই দোকানে সঠিক পন্যমূল্যের তালিকা এখনো টাঙ্গায়নি। পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারেরা পন্যসামগ্রী কিনতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছে।
এদিকে বাজার ব্যবসায়ী নেতা ছৈয়দ করিম জানান, মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর নিদের্শনা থাকলেও এখনো ঈদগাঁও বাজারে তালিকা উঠেনি ব্যবসা প্রতিষ্টানে। আবার দুয়েক মুদির দোকান ব্যবসায়ীর সাথে তালিকা প্রসঙ্গে কথা হলে তারা কোন প্রকার সদুত্তর দিতে পারেনি। অন্যদিকে এক ব্যবসায়ী জানান, দ্রব্যমূল্যের দাম একেক দিন একের দামের হওয়ায় সঠিক দামে মূল্য তালিকা দিতে পারছেনা বলেও জানান।
তবে সচেতন মহলের মতে, ঈদগাঁও বাজারে মুদি দোকান, কাঁচাবাজারে পণ্যমূল্যের তালিকা টাঙ্গানো আর ওজন পরিমাণে ডিজিটাল মেশিন ব্যবহার করার প্রতি আহবান জানান। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপর্ক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
You must be logged in to post a comment.