এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার জেলা সদরের বহুল আলোচিত বাণিজ্যিক উপ শহর ঈদগাঁও বাজারে পবিত্র রমজান মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। এই নিয়ে বাজারে প্রচুর সংখ্যক ক্রেতা সাধারণের ঢল নেমেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, এ বাজারে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা সাত ইউনিয়নের পাড়া মহল্লার মানুষজনের পাশাপাশি পাশ্ববর্তী রামুর ঈদগড়, রশিদ নগর, চকরিয়ার খুটাখালী ও নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীর লোকজনও এ বৃহৎ বাজার থেকে প্রতিবারের ন্যায় এবারও রমজানের জিনিসপত্র কিনতে দেখা গেছে। এমনকি দ্বিগুণ দাম হলেও কোন উপায় না দেখে ক্রেতারা কোন না কোন ভাবেই রমজানের প্রয়োজনীয় চনা, তেল, ঘি, পেঁয়াজ, আধা, রসুন, চনার ডাল, চিনি সহ আর কত কিছুই কিনছে নারী-পুরুষ ক্রেতারা। পাশাপাশি প্রথম রমজানের ইফতারীর বাজার হিসাবে অনেক মহিলারা সাপ্তাহিক হাটবার তথা শনিবারের বাজার থেকে শসা, ধন্যপাতা, টমেটো, খেজুর কিনতে ভুল করছে না। আবার ইফতারের অন্যতম অনুসঙ্গ মুড়ির বাজার চলছে এখন ব্যস্তসময়। বিক্রেতারা দূর দূরান্তের লোকজনদেরকে সমানতালে মুড়ি বিক্রি করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে মাছ বাজারে মাছের দাম দ্বিগুন আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও রমজানের মাসের শুরুতে প্রথম সেহরীর জন্য পরিবারের বায়না স্বরুপ অনেকে চড়া দাম হলেও মাছ কিনছে আগ্রহ করে। আবার বহু ক্রেতারা মাছ বাজার থেকে হতাশ হয়ে ফিরে এসে মুরগি কিংবা গরুর মাংস কিনতেও দেখা যায়।
অপরদিকে ঈদগাঁও বাজারের যত্রতত্র স্থানে বিকিকিনি করা রসালো ফলফলাদী কাঠাল, আম, আনারস, লিচু ও কিনছে ক্রেতারা। তবে পোকখালীর ২/১ বয়োবৃদ্ধ ক্রেতারা হতাশ কণ্ঠে জানান- রমজান আসলেই প্রতি বছর মাছের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ কি? অন্য সময় তো স্বাভাবিক থাকে।
ঈদগাঁওর কয়েক মহিলার ক্রেতাদের সাথে কথা হলে- তারা পরিবারের প্রধান দেশের বাহিরে কিংবা ছেলেরাও বাড়িতে না থাকার কারণে তাদেরকে রমজানের বাজার করতে হচ্ছে। পাশাপাশি তারাও নানা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রেতারা তাদেরকে ঠকাচ্ছেন বলেও জানান।
You must be logged in to post a comment.