হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার, অপরিচ্ছন্নতা, রাস্তা দখল, দোকান ও গাড়ির লাইসেন্স এবং গাড়ির ফিটনেন্স না থাকায় ১১ টি মামলায় ৪৯ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) উখিয়া স্টেশন এলাকায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিক অভিযান চালিয়ে এ দন্ডাদেশ দেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় একজন বাইক চালক, ফিটনেন্স না থাকায় তিনজন মাইক্রো চালক প্রত্যেককে ৫ শত টাকা করে ২ হাজার টাকা, বেকারি কামাল সওদাগরকে ৫ হাজার টাকা, প্রদীপ স্টোর ৫ হাজার টাকা, ভূট্রোর চনা-পিয়াজুর দোকানে ৫ হাজার টাকা, মিষ্টিঘর ১০ হাজার টাকা, বিশ্বনাথ স্টোর ১০ হাজার টাকা, একটি ওষুধের দোকানে ২ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন দোকান মালিক থেকে মোট ৪৯ হাজার টাকা অর্থদন্ড জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া ১টি সিএনজি ১টি টমটম, ও ২টি বাইক জব্দ করা হয়েছে।প্রদীপ স্টোর দোকানের সামনে রাস্তা দখল ও উখিয়া সদর স্টেশনে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির কাগজপত্র, মোটর সাইকেল চালকদের হেলমেট না থাকা ও ট্রাফিক আইন অমান্য করে গাড়ি চালানোয় মামলা দেয়া হয়েছে। ১৮৬০ এর দন্ডবিধির ২৯১ হোটেল রেস্তোরাঁ ১৯৮২, মোটরযান আইন ১৯৮৩ এর বিভিন্ন ধারায় এই মামলা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিক বলেন, এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাংবাদিক, যাত্রী, পথচারী, পরিবহন মালিক, দোকান মালিক, শিক্ষক ছাত্র, শ্রমিক সবাইকে আইন মানতে হবে। তিনি জানান, সড়কে দুর্ঘটনা রোধে চালকদের পাশাপাশি দোকান মালিক ও জনসাধারণের সহযোগিতা এবং সচেতনতা বাড়াতে হবে।
এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময়ে ওষুধের দোকান বন্ধ ও লাইসেন্স বিহীন বিভিন্ন গাড়ি চলাচল কমে গেছে। রাস্তা দেখা গেছে ফাঁকা। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর থেকেই নড়ে বসেছেন গাড়িচালক ও মালিকরা। সিএনজিসহ একাধিক গাড়ির মালিক জহির উদ্দিন বলেন, বর্তমানে গাড়ির বৈধ কাগজপত্র না থাকায় অনেকেই যানবাহন নিয়ে সড়কে নামছে না বলে জানান তিনি।
You must be logged in to post a comment.