রফিক মাহামুদ; কোটবাজার :
উখিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজাপালং সদর ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়া থেকে মধ্যরাজাপালং ও রত্নাপালং থেকে রাজাপালং ইউনিয়নের সংযোগের মধ্যস্থলে প্রবাহিত হিজলিয়া খালের উপর বাঁশের সাকো উপর দিয়ে যুগ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করে যাচ্ছে অন্তত ১০টি গ্রামের সাধারণ মানুষ। যা স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের নজরে পড়েনি এখনও।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শত শত ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার করতে। আবুল কাশেম নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র জিসান ও তার সহপাঠীরা সাঁকোটি ইতিমধ্যে ব্রীজে রূপান্তর করার দাবী জানিয়েছেন। এ সংযোগ সড়ক দিয়ে রাজাপালং এম.ইউ ফাজিল মাদ্রাসা, রাজাপালং বায়তুশরফ বালিকা মাদ্রাসা, আবুল কাশেম নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর পুকুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য রাজাপালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর পুকুরিয়া কিন্ডার গার্ডেন একাডেমী, রাজাপালং কেজি এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল সহ অন্তত ১০টিরও অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে যাচ্ছে উক্ত ঝুঁকিপূর্ণ সাকোর উপর দিয়ে। এছাড়াও ৪/৫টি মসজিদের মুসল্লিদের নামায আদায় করতে চরম ভাবে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার করে যাতায়তে করতে হয়।
এদিকে উখিয়া উপজেলার একমাত্র চিকিত্সা সেবা কেন্দ্র উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সেবার জন্য উত্তর পুকুরিয়া, দক্ষিণ পুকুরিয়া সহ ৬/৭ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চিকিত্সার জন্য উক্ত সড়ক ও সাকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়ত করে। এমন কি গর্ভবতি প্রসূতি মা ও শিশুদের বর্ষা মৌসুমে জীবনের চরম মূহুর্তেও ঝুঁকি নিয়ে একটি সেতুর অভাবে সামান্য বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার করতে হয়। যে সাঁকো দিয়ে সাধারণ ভাবে ১/২ জন পার হতে ভয়ে বুক ধর ধর করে কেঁপে উঠে, সেই বাঁশের সাঁকো দিয়ে কিভাবে একজন গর্ভবতী কিংবা রোগী নিয়ে পার হবে তা সচেতন মহলের প্রশ্ন?
স্থানীয় এনজিও কর্মী জিয়াউল হাসান টিপু অভিযোগ করে বলেন, বার বার ক্ষমতার পালাবদল হলেও হিজলিয়ার খালের দুই পাড়ের মানুষের দুঃখ দুর্দশার পরিবর্তন দেখা যায়নি। গ্রামীণ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে রাজাপালং উত্তর পুকুরিয়া সংযোগ সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। তারপরেও জনপ্রতিনিধিরা এসড়কের সংস্কার ও হিজলিয়া খালের উপর ব্রীজ নিমার্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। হিজলিয়া খালের উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সচতেন মহল স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিনের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও কালভার্ট সহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানের জনচলাচলের উপযোগী করে তুলার জন্য ইতিমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরেও আমি ব্যক্তিগত ভাবে হিজলিয়া বাঁশের সাঁকোটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
You must be logged in to post a comment.