সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / প্রাকৃতিক ও পরিবেশ / এক্সট্রা পাওয়ার বলে কথা টেকনাফে লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটা চালুর প্রক্রিয়া

এক্সট্রা পাওয়ার বলে কথা টেকনাফে লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটা চালুর প্রক্রিয়া

 

গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

কক্সবাজার জেলার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে বন বিভাগের আইন কানুন ভঙ্গ করে সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পুরানো নিয়মে এবং লাইসেন্স বিহীন একটি ইট ভাটা চালু করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে ইটভাটার চুল্লির কাজ শেষ। সরকারী আইন ভঙ্গ করে এখন ইট তৈরীর কাজ চলছে। যে কোন সময় এক্সট্রা পাওয়ার বলে ইট পোড়ানো শুরু করবে।

ইট পোড়ানোর সময় যেন প্রাকৃতিক ও পরিবেশ দুষিত না হয় সেই ধারাবাহিকতা নিয়ে সরকার ব্রীকফিল্ড গুলোকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর জন্য নির্দেশ দেয়। সেই সূত্র ধরে পার্শ্ববর্তী ব্রীকফিল্ড গুলো নতুন নিয়মনীতি মেনে নতুন পদ্ধতি অনুসরন করে ইট তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অথচ এমকেবি, ব্রিক্স নামে একটি ইট ভাটা সরকারী নিয়মনীতি না মেনে আগের পুরনো নিয়মে বাংলা ভাটা পদ্ধতিতে মনগড়া ইট তৈরীর কাজ শুরু করেছে। যাকে বলে এক্সট্রা পাওয়ার।

এই ইট ভাটার মালিক টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়ন দৈংঘাকাটা গ্রামের মির কাশেমসহ কয়েকজন সিন্ডিকেটের বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, সংশোধিত আইনে সংযোজিত পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে আধুনিক প্রযুক্তির ইট ভাটা অর্থাৎ জিগজাগ কিলন, টানেল কিলন বা অনুরূপ উন্নততর প্রযুক্তিতে ইট ভাটা স্থাপন করতে হবে। কৃষি জমি বা পাহাড় বা ঢিলা থেকে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাচাঁমাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। ইট তৈরি করার জন্য মজা পুকুর, খালবিল, নদনদী, চরাঞ্চল বা পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ করা যাবে না। মাটির ব্যবহার কমানোর জন্য কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ফাঁপা ইট তৈরি করতে হবে। নির্ধারিত মান মাত্রায় কয়লা ব্যবহার করতে হবে।

এদিকে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফে ১০টি ইট ভাটা চালু রয়েছে। অপরদিকে পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে ইট ভাটা স্থাপন ও কাট ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ হলেও টেকনাফে তার কার্যকরী নেই। ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিরুপ প্রভাব পড়ার আশংকা রয়ে গেছে।

বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব ও জনবান্ধব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর সেই স্বপ্ন, আদর্শ ও লক্ষ্য অর্জন ও বাস্তবায়নে। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবেশ রক্ষায় নানা রকম আইনি ব্যবস্থা ও বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে দিন রাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে তার সরকার। কিন্তু টেকনাফে তার কোন সুফল নেই। নির্বিচারে মাটি কাটা, পাহাড় কেটে সাবাড় করেই চলেছে। এতে পরিবেশের উপর দিন দিন বিপর্যয় বয়ে আনছে।

তাই পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পাহাড়ের পাশে এই ধরনের ইটভাটা চালু কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান টেকনাফের সচেতনমহল।

এব্যাপারে এমকেবি ব্রিক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী মির কাশেম জানান, সরকারি পর্যায়ে সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক করে অনুমতি পেয়ে ইটভাটা চালু করা হচ্ছে। এছাড়া সরকার ঘোষিত নিয়মনীতি মেনে নতুন পদ্ধতি অনুসরন করা হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দীকি জানান, লাইসেন্স বিহীন ও পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে ইট ভাটা চালু করা না হলে সংলিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তাছাড়া খু্ব শীঘ্রই সরকারী নিয়মনীতি না মানা ইট ভাটা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় জমি নিয়ে বিরোধে জের ধরে ১ জনকে কুপিয়ে খুন, আহত ৭

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/