ফিফা বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু ১৯৩০ সালে। মাত্র ১৩ দল নিয়ে ১৮ দিনের সেই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয় উরুগুয়ের রাজধানী মন্টেভিডিওতে। প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরাই। ফাইনালে প্রতিবেশী দেশ আর্জেন্টিনাকে হারায় উরুগুয়ে। বর্তমানে সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে সেবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে ওঠে তৎকালীন যুগোস্লাভিয়া।
ইতিহাসের প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় উরুগুয়েতে। কিন্তু, ইউরোপের বেশিরভাগ দলেরই এই বিশ্বকাপে অংশ নিতে ছিলো অনাগ্রহ। মূলত দক্ষিণ আমেরিকায় ভ্রমণের ঝক্কি নিতে চায়নি তারা।
পেরিয়েছে সময়। ফুটবল বিশ্বকাপ এখন প্রায় শতবর্ষী। বদলেছে এর আবেদন। ১৩ দলের আসর এখন ৩২ দলের। পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় আসর কিংবা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ এখন ফিফা বিশ্বকাপ।
এস্তাদিও সেন্তেনারিওতে ১৯৩০ সালের ১৩ জুলাই রচনা হয়েছিলো ইতিহাস। এখনকার মতো জৌলুশ ছিলোনা তখন। মন্টেভিডিও শহরের ৩ ভেন্যুতেই হয়েছিলো পুরো ১৮ দিনের আসর। অংশ নিয়েছিলো দক্ষিণ আমেরিকার ৭টি, ইউরোপের ৪টি এবং উত্তর আমেরিকার ২টি দল।
চার গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা উঠেছিলো সেমিফাইনালে। ফাইনালে লাতিন আমেরিকার আরেক দল আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ঘরের মাটিতে শুরু হওয়া প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। ফ্রান্সের লুসিয়ে লরা বিশ্বকাপের প্রথম গোল স্কোরার। ৮ গোল নিয়ে ঐ আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন আর্জেন্টিনার গিলের্মো স্তাবিলে।
১৯২৮ অলিম্পিকের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো উরুগুয়ে। তাই ২ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বাগতিকদের জয়ে যেন দ্বিগুণ আনন্দে মাতেন এস্তাদিও সেন্তেনারিওর গ্যালারি উপস্থিত ৬৮ হাজার দর্শক। সেই ৬৮ হাজার দর্শকের আবেগ যুগ থেকে যুগে হয়েছে বিস্তৃত। ৪ বছর পরপর বিশ্ব আসর ভক্তদের যে শিহরণ উপহার দেয়, তার শুরুটা হয়েছিলো ১৯৩০’এই।
সূত্র:somoynews.tv;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.