সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / কোলাহল মুখরিত বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স এখন নীরব: জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টায় মহাপরিচালক

কোলাহল মুখরিত বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স এখন নীরব: জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টায় মহাপরিচালক

জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টায় মহাপরিচালক শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম

দীপক শর্মা দীপু; কক্সভিউ :
কক্সবাজারের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স-এর আওতাধীন বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি, বায়তুশ শরফ হাসপাতাল, মসজিদ, এতিমখানাসহ ৮টি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। ৮টি প্রতিষ্ঠানে চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ হাজার মানুষের সমাগম হয় এই কমপ্লেক্সে। ধর্মীয়, মানবকল্যাণমূলক ও সমাজসেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন নানাভাবে সেবা নিতে আসেন। মানুষের পদচারণা ও কোলাহলে মুখরিত থাকত বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স। এখন এই পরিস্থিতি পুরোটাই উল্টো। মানুষের তেমন কোন কোলাহল নেই, নেই কোন পদচারণা। চারিদিকে যেন শুনশান অবস্থা। ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌সরজমিনে এসব দৃশ্য দেখা যায়।

এমন নিরব নিস্তব্ধতার মধ্যে দেখা যায়, বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স এর মহাপরিচালক শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলামকে। তিনি নিজের কাঁধে স্প্রে মেশিন নিয়ে চারিদিকে জীবানুনাশক পানি ছিটান। বায়তুশ শরফ হাসপাতাল ও মসজিদে আসা মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে তিনি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুল কখন খুলবে তার নির্দিষ্ট সময় না থাকলেও এই শিক্ষাবিদ প্রতিদিন স্কুল ভবন গুলো দেখেন এবং এখানেও জীবাণুনাশক পানি ছিটিয়ে দেন। এই সময় তার সাথে দারোয়ান পিয়নসহ নিম্নস্তরের কর্মচারীদের দেখা যায়।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারির এই ভয়াবহ সময়ে বায়তুশ কমপ্লেক্সের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারি বিধি বিধান অনুযায়ী, চিকিৎসকদের পরামর্শ ও পবিত্র কোরআন হাদিসের আলোকের নির্দেশ মোতাবেক মসজিদে স্বল্প পরিসরে নামাজ আদায় করছে মুসল্লীরা। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ও জরুরি চিকিৎসা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ফজরের নামাজ ও এশারের নামাজের পর দোয়া ইউনুস এ আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে দেশের মানুষকে ও পৃথিবীর মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখার জন্য বিশেষ প্রার্থণ করা হয়।

দেখা যায়, সিনিয়র ডাক্তার, কর্মকর্তাদর অনেকে অনুপস্থিত থাকলেও কমপ্লেক্সের পরিচালনাধীন সকল প্রতিষ্ঠানের পাহারাদার পিয়ন নাইট গার্ড, পরিচ্ছন্ন কর্মীরা তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন। আর তাদের জন্য নিবেদিত রয়েছেন কমপ্লেক্স এর মহাপরিচালক। তিনি দুঃসময়ে হাসপাতালসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থাকা দারোয়ান, পিয়ন, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন সেইসাথে তাদের বিশেষ ভাতা দিয়েছেন। জেলার বৃহৎ স্কুল বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের ঘরে ঘরে ফোন করে তাদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের এই মহামারী সময়ে ডাক্তার, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সকল হাসপাতাল ক্লিনিক চেম্বারে চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক রাখা জরুরি। তিনি এই মহামারী সময়ে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব ও কর্তব্যপরায়ন দারোয়ান, পিয়ন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দেশের সকল হাসপাতালসহ ও অন্যান্য দপ্তরের পিয়ন দারোয়ান ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্বশীলতার স্বীকৃতি দেয়ার অনুরোধ করেন। সেইসাথে তাদের প্রত্যেকের আপদকালীন সময়ে বিশেষ ভাতা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট তিনি অনুরোধ করেন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় জমি নিয়ে বিরোধে জের ধরে ১ জনকে কুপিয়ে খুন, আহত ৭

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/