সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / ক্রেল প্রকল্পের ‘‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অংশগ্রহণমূলক প্রতিবেশ পরিবীক্ষণ’’ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

ক্রেল প্রকল্পের ‘‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অংশগ্রহণমূলক প্রতিবেশ পরিবীক্ষণ’’ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

CREL NEWS 13.4.16

বার্তা পরিবেশক

‘হলে সঠিক পরিবীক্ষণ, হবে বন ও জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন’’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজার জেলায় চকরিয়া উপজেলায় এসএআরপিভি মিলনায়তনে নেকম-ক্রেল (ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকুসিস্টেম এন্ড লাইভলিহুড্স) প্রকল্পের উদ্দ্যোগে মেদাকচ্ছপিয়া ও ফাঁসিয়াখালী সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে ‘‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অংশগ্রহণমূলক প্রতিবেশ পরিবীক্ষণ’’ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ক্রেল প্রকল্পের সাইট অফিসার আব্দুল কাইয়ুম এর উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রফিকুল হক।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সভাপতি, ফাঁসিয়াখালী সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি। উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি ও রিসোর্স পারসন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ ইউসুফ; ক্রেলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শফিকুর রহমান; মনিটরিং অফিসার সামিউল মোহসেনিন; গভার্নেন্স অফিসার ছরওয়ার জাহান;, মেদাকচ্ছপিয়া সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এসএম আবুল হোসেন। এছাড়া ক্রেল প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ; বীট কর্মকর্তাবৃন্দ, সিপিজি, ভিসিজি, পিএফ, ইকোট্যুর গাইড, বন সংরক্ষণ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্রেলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ক্রেল প্রকল্প হল পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প যাহা ইউএসএই্ড এর অর্থায়নে এবং উইনরক ইন্টার ন্যাশনাল এর কারিগরি সহযোগিতায় পরিচালিত। মাঠ পর্যায়ে সকল কার্যক্রম সম্পাদন করছে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এবং জীবিকায়ন নিয়ে কাজ করছে কোডেক। বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, পরিবেশ-প্রতিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও পরিবেশ বান্ধব টেকসই জীবিকায়ন নিয়ে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ষ্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে এ প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আজকের এই ‘‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অংশগ্রহণমূলক প্রতিবেশ পরিবিক্ষণ’’ প্রশিক্ষণ।

উক্ত প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে বনের বর্তমান অবস্থা, বনের অবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে কিনা, বনের উন্নয়ন বা অবনতি হচ্ছে কিনা, পূর্বাবস্থায় ফিরে আনার জন্য করণীয় কি, কোন কোন নিয়মে জীববৈচিত্র্য পরিবিক্ষণ করা হবে, কারা করবে, কিভাবে করবে, কখন করবে, কিভাবে রেকর্ড সংরক্ষণ করবে ইত্যাদি বিশদভাবে আলোচিত হয়।

বিশেষ অতিথী সহকারী বন সংরক্ষক জনাব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, প্রতিবেশ পরিবেক্ষণ অবশ্যই দরকার। বনে বসতিরা বৈধ নয় সুতরাং প্রশাসনের সহযোগিতায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি সহ-ব্যবস্থাপনার সকলকে সহযোগিতা করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশ পরিবীক্ষণ প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারব, বন ও বনের প্রতিবেশ ও এর সেবা, প্রতিবেশ পরিবিক্ষণ কৌশল, বন ও জীববৈচিত্র্যের সার্বিক অবস্থা; উক্ত অবস্থার পরিপেক্ষিতে করণীয় নির্ধারণ।

প্রধান অতিথী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রফিকুল হক বলেন, জীববেচিত্র্য রক্ষায় আমাদের সকলকে সাহস নিয়ে কাজ করতে হবে। সরকার স্বীকৃত সহ-ব্যবসথা কমিটি ও এর অঙ্গ সংগঠন প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে যেভাবে সহযোগিতা করছেন তা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি ক্রেল প্রকল্পের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও বিকল্প জীবিকায়নের প্রশংসা করে বলেন, এতে এখন পর্যন্ত অনেকে বন ধ্বংস থেকে ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, আজকের এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা জানতে পারবে পর্যবেক্ষণ, পরিবিক্ষণ কি? কিভাবে পরিবিক্ষণ করবো। পরিবিক্ষণের মাধ্যমে বনের উন্নতি কতটুকু হয়েছে? কিভাবে আরও উন্নয়ন করা যায়? আর প্রত্যেকে যদি পরিবিক্ষণ করতে শিখি এবং সে অনুযায়ী উন্নয়নের উদ্দ্যেগ নিই তবে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছান সম্ভব। ক্রেল প্রকল্পের এধরনের উদ্দ্যেগ সত্যিই প্রসংশনীয়। তিনি এ ধরণের আরও প্রশিক্ষণের জন্য ক্রেল প্রকল্পকে অনুরোধ করেন এবং সবাইকে বন ও পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতার মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতা হাজী নূর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/