Home / প্রচ্ছদ / ক্রীড়া / গোল্ডেন বলের দৌড়ে এগিয়ে যারা

গোল্ডেন বলের দৌড়ে এগিয়ে যারা

(বাম থেকে) লুকা মদ্রিচ, কিলিয়ান এমবাপ্পে, হ্যারি কেইন, এডন হ্যাজার্ড। ছবি: সংগৃহীত

ধীরে ধীরে সমাপ্তির পথে হাঁটছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে টিকে আছে কেবল ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স। কারা জিতবে বিশ্বকাপ, এই নিয়ে হচ্ছে আলোচনা, হচ্ছে ভবিষ্যদ্বাণী। সেই সঙ্গে থেমে নেই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় কে এই নিয়ে আলোচনাও। গোল্ডেন বলের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কারা এই নিয়ে হিসাব করতে বসে গেছেন অনেকে।

২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরেও গোল্ডেন বল পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তার আগে ২০১০ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টে চতুর্থ দল হয়েও উরুগুয়ের দিয়েগো ফোরলান জিতেছিলেন এই পুরস্কারটি। ১৯৯৪ সালে সর্বশেষ বিজয়ী দলের কোনো খেলোয়াড় গোল্ডেন বল পেয়েছিলেন। তিনি ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোমারিও।

রাশিয়া বিশ্বকাপ অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে গোল্ডেন বলের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন অনেকে। তবে যে চারজনের নাম নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে তারা হলো ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ, ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে, ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন ও বেলজিয়ামের এডেন হ্যাজার্ড।

ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘ডার্ক হর্স’ তকমা নিয়ে খেলতে আসা ক্রোয়েশিয়া দলটি খেলবে বিশ্বকাপের ফাইনাল, এমন ভাবনা হয়তো ছিল না কারোরই। ভাবনা না থাকলেও দলটি ইতোমধ্যে উঠে গেছে ফাইনালে এবং এর পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ।

৩২ বছর বয়সী লুকা মুদ্রিচ পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই রয়েছেন সেরা ফর্মে। মাঝমাঠে বল পায়ে রাজত্ব করে বেড়ানো এই খেলোয়াড় তার পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন সবার। দলের হয়ে গোল করেছেন দুটি, সেই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন প্লে মেকার হিসেবেও।

ক্রোয়েশিয়া ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান ডাবের সুকের জানিয়েছেন, তার হাতে তিন ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকলে সবগুলো ভোটই তিনি দিতেন মদ্রিচকে। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার আরেক খেলোয়াড় ইভান রাকিটিচ তো সরাসরি বলেই দিয়েছেন, রাশিয়া টু্র্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় মদ্রিচ। ফিফার ভাষ্য মতে, এই বিশ্বকাপে ৬৩ কিলোমিটার দৌড়ে মদ্রিচই সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রিম করেছে।

ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া বিশ্বকাপে স্কিল ও গতির ঝড়ে বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়েছে ফ্রান্সের নতুন সেনসেশন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার পায়ে বলে এলেই যেন বদয়ে যায় খেলার দৃশ্যপট। দুর্দান্ত গতির সঙ্গে অসাধারণ ফিনিস, প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ভাঙন ধরাতে যেন মুখিয়ে থাকেন এই ১৯ বছর বয়সী ফুটবলার।

বিশ্বকাপ আসরের এক ম্যাচে দুই গোল করা প্রথম টিনেজার কিংবদন্তী পেলে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে এমন কীর্তি করেছিলেন সাবেক এই ব্রাজিলিয়ান। রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলর লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২ গোল করে পেলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন এই তরুণ তুর্কি।

বিশ্বকাপে এমবাপ্পের গোল সংখ্যা তিন। সেই সঙ্গে সতীর্থদের গোলে অবদানও রেখেছেন এই তরুণ তুর্কি। ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম এমবাপ্পে সম্পর্কে বলেন, ‘সে খুবই ভালো একজন খেলোয়াড়। সে একজন ফ্রেঞ্চ বলে আমি খুবই খুশি। মেসি-রোনালদোর পর্যায়ে যাওয়ার মতো প্রতিভা তার রয়েছে।’

ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলাদাতার তালিকায় সবার ওপরে যার নাম রয়েছে তিনি ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৬ গোল করেছেন এই ইংলিশ তারকা। শুধু যে গোলই করেছেন এই ইংলিশ তা নয়, দেশকে সেমিফাইনালে তোলার পেছনে রেখেছেন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা। সতীর্থ খেলোয়াড়দের ম্যাচ জয়ের মানসিকতা তৈরিতেও অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন এই তারকা।

রাশিয়া বিশ্বকাপটি হ্যারি কেইনের জন্য ছিল চ্যালেঞ্জের। ছিল সমালোচনার জবাব দেওয়ার একমাত্র উপায়। অনুর্ধ্ব-২১ ইউরো কাপ এবং ২০১৬ ইউরো কাপে তার পারফরম্যান্স ছিল খুবই মলিন। তাইতো রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল তার সামর্থ্য নিয়ে। হয়েছিল অনেক সমালোচনাও।

কিন্তু সেই সমালোচনার সঠিক জবাব দিয়ে দলকে সেমিফাইনালে তুলতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই টটেনহ্যাম তারকা। তাইতো গোল্ডেন বল এবং গোল্ডেন বুটের দৌড়ে ভালোই এগিয়ে রয়েছেন কেইন।

বেলজিয়ামের এডেন হ্যাজার্ড। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিভার প্রাচুর্যে ভরপুর বেলজিয়ামের দলটি কেভিন ডি ব্রুইনা-রোমেলু লুকাকুর মতো তারকা নিয়ে গড়া হলেও দলটির প্রাণভোমড়া ছিল অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ড। খেলাকে নিয়ন্ত্রণ ও গতিপথ বদলে দিতে জুড়ি নেই এই চেলসি তারকার। ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ের দিন হ্যাজার্ড যেন হয়ে উঠেছিল অপ্রতিরোধ্য। সেমির লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষেও তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। যদিও দলকে ফাইনালে তুলতে পারেননি এই তারকা। ম্যাচ হারলেও সুনাম কুড়িয়েছে তার পারফরম্যান্স।

রাশিয়া বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ২ গোল করেছেন এই বেলজিয়ান তারকা। সেই সঙ্গে এসিস্টও করেছেন দুটি। দলটির হয়ে নেতৃত্ব দিয়েও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। বেলজিয়াম কোচ রবের্তোর মার্টিনেজ হ্যাজার্ডের অধিনায়কত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘সে একজন অসাধারণ অধিনায়ক। একজন অসাধারণ নেতা। খেলার অবস্থা যাই হোক না কেন সে সব সময় বল নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।’

সূত্র:ইব্রাহিম সোহান;priyo.com-ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২৫ সদস্যের ঈদগাঁও উপজেলা ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/