হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রিত অশিক্ষিত রোহিঙ্গারা গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে এ রকম দুর্ঘটনায় নি:শেষ হয়ে যেতে পারে রোহিঙ্গাদের মানবেতর জীবন। এমনিতেই তারা অশিক্ষিত। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার অনেকেই সঠিকভাবে জানেন না। তার ওপর চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে কদর বুঝতে পারছে না। রোহিঙ্গা নারী উম্মে কুলসুম বলেন, তার ছোট্ট একটি ঘরে এগারো সদস্যের বসবাস। যে ঘরে রয়েছে বৃদ্ধ নারী ও শিশুরা। তিনি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে এক এনজিও নারী কর্মী থেকে জেনে নিয়েছেন। তবে অনেকেই সঠিক ব্যবহার জানেন না। শুনেছি গ্যাস সিলিন্ডার একটি শক্তিশালী বোমা। তাই সব সময় সতর্ক হয়ে এটি ব্যবহার করি।বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহায়তায় ক্যাম্পে প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার দেয়া হচ্ছে। এনজিওদের এটির ব্যবহার বিধি সবাইকে জানিয়ে দেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি।ময়নাঘোনা ক্যাম্পের সেতারা আমিনা ও মায়েশা বলেন, আমরা এখানে এখনো গ্যাস সিলিন্ডার পায়নি।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার জাকির হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটলে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্রায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গ্যাস বিস্ফোরণকে দায়ি করা হয়। ঠিক তেমনিভাবে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে তার চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কারণ এখানে ক্যাম্পের ভেতরে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নেই। লোকবল সংকটসহ একটি মাত্র পানির গাড়িতে এ ধরণের দুর্ঘটনা সামাল দেয়া মুসকিল হয়ে যাবে।
বিভিন্ন দাতা সংস্থা এনজিওদের সাহায্য সহযোগিতা করলেও তাদের প্রাণ রক্ষায় নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বাড়ানোসহ অন্যান্য আধুনিক সরঞ্জমাদির ব্যাপারে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি। যে কোনো বাসাবাড়ি কিংবা সড়কে চলা যানবাহন-সর্বত্রই এভাবে মৃত্যুফাঁদ হয়ে আছে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার। বিস্ফোরণ রোধে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার পূণ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে আইন করা প্রয়োজন। তবে আমরা ক্যাম্পে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
You must be logged in to post a comment.