এম.আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওর উপকূলীয় এলাকাজুড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র চরম আতংকে রয়েছে অসংখ্য নর-নারী। আবার তারা নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য নানা প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছে। অনেকে সহায় সম্বল যেটুকু আছে সেটুকু নিয়ে এলাকায় রয়ে যাচ্ছে।
সূত্রমতে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও উত্তর দিকে সরে বাংলাদেশ উপকূলের ৫শত কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ খবরে সদরের উপকূলীয় এলাকা তথা পোকখালীর গোমাতলী, চৌফলদন্ডী সহ ইসলামপুর এলাকার অসংখ্য নর-নারী চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে। কবে ধেয়ে আসছে এ ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’।অনেকের মাঝে নানা কল্পনা জল্পনা চলছে। উপকূল ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এসব এলাকায় মাইকিং ও চলছে বলে এক সূত্রে প্রকাশ। তাদেরকে ঘুণিঝড় ‘মোরা’ থেকে বাঁচতে অন্যত্রে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় আতংকের পাশাপাশি ২৯ মে দিনভর গুটি গুটি বৃষ্টি পড়ছে বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকায়। এমনকি জেলা সদরের বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারেও লোকজনের সংখ্যা অনেক ক্ষেত্রে কম দেখা গেছে। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আতংক থেকে বাঁচতে কিংবা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে উপকূলবাসী চরম আতংকে রয়েছে। উপকূলীয় এলাকা গোমাতলীর আ’লীগ নেতা দেলোয়ার জানান, কক্সবাজার সমূদ্র বন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত তথা ঘূণিঝড় ‘মোরা’র আতংকে আমরা উপক‚লবাসী আতংকিত। অনেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ের লক্ষ্যে সরিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
পাশাপাশি পোকখালীর আরেক আ’লীগ নেতা মোজাহের আহমদের মতে, অন্যান্য উপকূলীয় এলাকার মত তারাও আতংকের মাঝে রয়েছে। চৌফলদন্ডী এলাকার এহছানুল হক জানান, ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’র আতংকে চৌফলদন্ডী উপকূলবাসী আতংকিত। পাশাপাশি এ উপকূলীয় এলাকায় লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে দুপুরের দিকে মাইকিং করা হয়েছে বলেও জানান।
উল্লেখ্য যে, ঘূর্ণিঝড় মোরা আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘণ্টায় ৭০-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের মানে হল, সাগরে মাঝারী শক্তির একটি ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসছে, যেখানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷ ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের মাত্রা ৭ নম্বরের সমান, তবে দিক ভিন্ন।
You must be logged in to post a comment.