চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার মেধাকচ্ছপিয়া ঢালায় যাত্রীবাহী জীপ ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩জন নিহত ও ৯জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর ২জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় তিন যাত্রী।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মৃত মো. কালুর ছেলে সাজিদ হোসেন (২৪), একই ইউনিয়নের হাজী পাড়ার মৃত মোজাহের হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৭০) ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও এলাকার মৃত ছমিউদ্দিনের ছেলে আবদুস সালাম (৬৭)।
গুরুতর আহত খোকন (৩২) ও অজ্ঞাত ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার জগেশ শীলের স্ত্রী আরতি শীল (৬৫), মালুমঘাট রিংভং এলাকার মৃত ইলিয়াছের ছেলে মোহাম্মদ সাজ্জাদ (৩০), ঈদগাঁও এলাকার আকতার আহমদের ছেলে মামুনুর রশীদ (২২) তার বোন সাহেদা বেগম (১৭) ও ডুলাহাজারার রংমহল এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী নাজমা খাতুন (৩৫) সহ ৭জনকে।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেন বলেন, চকরিয়া থেকে মালবাহী পিকআপ (চট্টমেট্রো-ন-১১-৪১০৫) কক্সবাজার যাচ্ছিল। ঈদগাঁও থেকে যাত্রীবাহী জীপ (ঢাকা-ব-১১২৬) চকরিয়া আসছিল। মহাসড়কের মেধাকচ্ছপিয়ার ঢালায় পৌছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপটি দ্রুত গিয়ে বিপরীতমুখী জীপকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনা ঘটে। চালক হেলপার পালিয়ে গেলেও গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মাসুদ আলম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে বলেন, বেলা ১টায় দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হয় ১২জন। তৎমধ্যে ৫ জনকে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে ৩জন মারা যায়। অপর আহতদের মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের পরিবার সদস্যদের উপর নির্ভর করছে ময়নাতদন্ত করতে হবে কিনা।
You must be logged in to post a comment.