মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরু ডাকাত সিন্ডিকেটের ইয়াসিন আরাফাত (২২) নামের এক সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এসময় জব্দ করা হয় ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ি। শনিবার ভোর রাত আড়াইটার দিকে চকরিয়া-মহেশখালী সড়কের কোরালখালী এলাকা থেকে ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ইয়াসিন আরাফাত চকরিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ করাইঘোনার নাজিম উদ্দিনের ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারের সময় পিকআপ জব্দ ছাড়াও উদ্ধার করা হয় একটি থ্রি-কোয়ার্টার বন্দুক, ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি কিরিচ, তালা কাটার কাটার ও কয়েকটি রশি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রাতের খবর পায় চোয়ারফাঁড়ি সংলগ্ন চিংড়ী ঘেরে ডাকাতির করতে কিছু যুবক জড়ো হয়েছে। এখবর পেয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছির আরাফাত, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত চৌধুরী, মো.আলমগীর ও জুয়েল চৌধুরীসহ একদল পুলিশ ফোর্স নিয়ে চিংড়ী ঘেরে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে কোরালখালী এলাকায় পৌছলে নবী হোসেন প্রকাশ নইব্যা চোরার বাড়ির সামনে একটি পিকআপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। পুলিশ উপস্থিত হওয়া মাত্রই ৭-৮জন লোক দৌড়ে পালিয়ে যায়। এতে সন্দেহ জাগলে ধাওয়া করে ইয়াসিন আরাফাতকে গ্রেপ্তার করি। পরে ওই পিকআপে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করি।
ওসি আরো বলেন, ধৃত ইয়াসিন আরাফাত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা পিকআপটি নিয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় গরু ডাকাতি করতে যাচ্ছিল। গাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ ও ডাকাতি করা গরুর আগাম মূল্য বাবদ টাকা নিতে নইব্যা চোরাই কাছে যায়। তবে, ধৃত ইয়াসিন ডাকাত দলের চারজনের নাম বললেও অন্যদের নাম প্রকাশ করেনি। তাই বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন হওয়ায় তাকে রিমান্ডে আনার আবেদন করা হবে আদালতে।
এঘটনায় থানার এসআই মো.আলমগীর বাদি হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.