সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও ইয়াবা উদ্ধার

চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও ইয়াবা উদ্ধার

চাকুরীচ্যুত পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ২

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
ইয়াবা বড়ির লেনদেনকালে এসবি পুলিশের কনস্টেবেলসহ দুইজনকে আটক করেছে কক্সবাজারের চকরিয়া থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৯৫ পিস ইয়াবা ও নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা এবং তিনটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের হাসপাতাল সড়কস্থ একটি আবাসিক হোটেলে থানার এসআই মাজাহারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এ অভিযান চালায়।

আটক পুলিশ কনস্টেবল মো.মেহেদী হাসান (৪৩) অন্য অপরাধে ২০১৭ সালে চাকুরীচ্যুত হয় বলে নিশ্চিত করেন চকরিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো.মতিউল ইসলাম। আটক মেহেদী হাসান দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার তালপুকুর এলাকার আজিজা রহমানের ছেলে এবং অপর আটক ফয়েজ আহমদ ডাবু (৩৫) ঢাকার রামপুরার পূর্ব হাজিরপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

পুলিশ জানায়, চকরিয়া পৌরশহরের একটি আবাসিক হোটেলে ইয়াবা বেচাকেনা হচ্ছে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালানো হয়। ওইসময় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ মেহেদী ও ফয়েজ আটক করা হয়। পরে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়েরের পর তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সুত্র জানায়, এসবি’র কনস্টেবল মেহেদী হাসান ২০১৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। এরপর থেকে মেহেদী মাদক ব্যবসায় জড়ায়। তিনি প্রায় সময় কক্সবাজার থেকে মাদক নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিলো। চকরিয়া থেকেও মাদক কিনতে এসে অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে মেহেদী।

আটক মেহেদী হাসান বলেন, ১৯৯৮ সালে আমি পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগদান করি। ২০১৭ সালে ঢাকায় এসবিতে দায়িত্ব পালনকালে এক দোকান মালিকের সাথে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতি হলে আমাকে ডিপার্টমেন্ট সাময়িক বরখাস্ত করে আরআরআইতে সংযুক্ত করেন। এখনো আমি পুরোপুরি বরখাস্ত হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। চকরিয়ায় ইয়াবা কিনতে আসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

ওই সময় স্ত্রী আছিয়া চৌধুরী ছিদ্দিকা বলেন, আমার স্বামীর বাড়ি দিনাজপুর হলেও দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার রামপুরায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছি। চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত হলে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে জমি বিক্রয় করে ৫ লাখ টাকা পাই। ওই টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে গত বৃহস্পতিবার আমার স্বামী বাসা থেকে বের হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে খবর পাই চকরিয়া থানা পুলিশ আমার স্বামীকে আটক করেছে। খবর শোনে রাতেই বাসে উঠে সকালে চকরিয়া থানায় আসি। তার স্বামী বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছে।

চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, আটককৃতদের মধ্যে ধৃত মেহেদী পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে এসবি’র কনস্টেবল ও ঢাকায় কর্মরত বলে দাবি করেন। শনিবার সকালে তার স্ত্রী চকরিয়া থানায় এসে স্বামীকে সনাক্ত করেন। ওইসময় স্ত্রী দাবি করেন তার স্বামী বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর থানার এসআই মাজহুরুল ইসলাম বাদি হয়ে মাদক আইন মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে গভীররাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, স্কেভেটর ধ্বংস

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :বান্দরবানের লামায় গভীর রাতে পাহাড় কাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/