মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে প্রকাশ্য দিবালোকে চলছে পাহাড় কেটে মাটি লুট করা হচ্ছে। স্থানীয় শাসকদলের কতিপয় নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় কয়েকমাস ধরে ইউনিয়নের খাঁসমহলের উত্তরে হাসি সিকদার পাড়ায় উপকূলীয় বনবিভাগের ন্যাড়া পাহাড় কেটে মাটি লুটের এ প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। দিব্যি এভাবে পাহাড় কেটে মাটি লুটে নেয়া হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে অবস্থিত উপকূলীয় বনবিভাগের একাধিক পাহাড়কে ঘিরে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র কয়েকবছর ধরে শুস্ক মৌসুমে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর শুস্ক মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির ভাগিনা ও যুবলীগের নেতা পরিচয়ধারী শহিদুল ইসলাম এবং তার সহযোগি ওই এলাকার পাহাড় কেটে মাটি বিক্রিতে নেমেছে। তারা স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেদারছে পাহাড় কাটার প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে। প্রতিদিন পাহাড় কেটে ডাম্পার ট্রাকে করে মাটি নেয়া হচ্ছে আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন স্থানে। এ অবস্থার কারনে এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ চরম হুমকির মুখে পড়েছে। এতে ভারী ট্রাক চলাচলের কারনে ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামীন সড়ক গুলো।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পাহাড় কেটে মাটি নেয়ার ওই জায়গাটি আমার পরিবারের খতিয়ানভূক্ত জায়গা। মূলত আমি নিজের জায়গা থেকে মাটি বিক্রি করছি, এতে দোষের কি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম জানান, পাহাড় কেটে মাটি লুটের ঘটনাটি কেউ অভিযোগ করেনি। তবে তদন্তপূর্বক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম বলেন, চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে পাহাড় কাটার ঘটনাটি আমার জানা নেই। গত বছর পাহাড় কাটার ঘটনায় মামলাও করা হয়েছে। শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে।
You must be logged in to post a comment.