কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং গ্রামের তোফায়েল আহমেদ(৩৬)। আহমদ কবিরের পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে তোফায়েল। সামান্য গাছ চোর থেকে বনভূমি দখল ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে তোফায়েল এখন কোটিপতি। নানা অপরাধের কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের বিভিন্ন থানায় অর্ধশতাধিক মামলা থাকলেও তোফায়েল ছিলো অধরা। বেশ ক’টি মামলা থেকে জামিন নিয়েছে কৌশলে। তার পরিবর্তে প্রক্সি হাজিরা ধরা পড়ে তিন ব্যক্তি হাজত বাসও করে। অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছে সেই আলোচিত তোফায়েল। ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি দেবাশীষ সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, অল্প বয়সেই বনের গাছ চুরির মাধ্যমে অপরাধ জগতে প্রবেশ তোফায়েলের। বনভূমি দখল করে বিক্রয় ছাড়াও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে অল্প সময়েই কোটিপতি তোফায়েল। পকেটে কাঁচা টাকা থাকায় গ্রেপ্তার এড়াতে লোকভাড়া করে আদালতে প্রক্সি হাজিরার মাধ্যমে হাজতবাস ও জামিন নেয়া ছাড়াও অপকর্ম আড়াল করতে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজনকে নগদ টাকাসহ উপঢৌকন দিতো তোফায়েল। ব্যক্তি জীবনেও ছিল মদ্যপায়ী ও নারীলিপ্সু। তার রয়েছে চার স্ত্রী ও নয় সন্তান। তন্মধ্যে বড় স্ত্রী জন্নতারা বেগম (৩২) বাংলাদেশী হলেও অপর তিন স্ত্রী কৌহিনুর আক্তার (২৮), ইয়াসমিন (২৫) ও পারভিন আক্তার (১৮) মায়ানমারের নাগরিক বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়।
গ্রেপ্তার হওয়া তোফায়েল বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে হারবাং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেও নিজেকে প্রশাসনিক ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখতে সদ্য গঠিত ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য তালিকায় নাম উঠান নানামুখী তদবিরের মাধ্যমে। এরপরও গ্রেপ্তার এড়াতে না পারায় বর্তমান সরকারের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের ভুয়সি প্রশংসা করছেন হারবাংয়ের আপামর জনতা।
হারবাং ফাঁড়ির আইসি দেবাশীষ সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে হাতে পাওয়া পাঁচটি মামলার ওয়ারেন্ট (তিনটি মাদক ও দুটি বন) পাওয়ার সাথে সাথে তোফায়েলকে আদালতে পাঠিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আরো মামলা থানায় রয়েছে কিনা খোঁজ করছি এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও বান্দরবানের লামা থানায় মামলা রয়েছে বলে শুনেছি।
You must be logged in to post a comment.