কক্সবাজারের চকরিয়ায় আলোচিত মাষ্টার নারায়ান দাশ হত্যার দ্রুত বিচার ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহিদ মাষ্টার নারায়ন স্মৃতি সংসদ ও চকরিয়াবাসীর যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরস্থ নিউ মার্কেটের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন- বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া শাখার আহবায়ক রতন বরণ দাশ, চকরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বাবলা দেবনাথ, শহিদ মাষ্টার নারায়ন স্মৃতি সংসদের আহবায়ক প্রভাষক সবুজ ধর, চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক ফরিদুল ইসলাম রাসেল, বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতি চকরিয়া শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলাল সুশীল, চিরিংগা যুবকল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, চকরিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক নারায়ন কান্তি দাশ, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিদুয়ান, যুবনেতা হেলাল উদ্দিন হেলালী, শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, পৌর যুবলীগ নেতা শাহরিয়ার সোহেল, যুবলীগ নেতা আবদুল হামিদ বাবলু, শহিদ নারায়ন দাশের পিতা সাচীরাম দাশ, ছোট ভাই জয়শংকার দাশ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, অবিলম্বে শহিদ মাষ্টার নারায়ন দাশের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানান। পাশাপাশি হত্যাকান্ডের এক বছর ফেরিয়ে গেলোও প্রশাসন আদালতে চার্জশীট দাখিল করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমরা এই হত্যাকান্ডের ইন্ধনদাতাসহ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তি দাবী জানাচ্ছি।
শহিদ মাষ্টার নারায়ন দাশের পিতা সাচীরাম দাশ বক্তব্যে বলেন, আমিও এখন মৃত্যু পথযাত্রী। মৃত্যুর আগে আমি আমার ছেলের বিচার দেখে যেতে চাই। আমার আর কোন চাওয়া নেই। আমি প্রশাসেনর প্রতি হাত জোড় করে আবেদন করছি দ্রুত আমার ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর ভোররাত সোয়া ২ টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ঘরের বেড়া ভেঙ্গে বাড়ীতে প্রবেশ করে। এসময় বাধা দিলে গুলি করে হত্যা করা হয় মাষ্টার নারায়নকে। উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দিগরপানখালী গ্রামের প্রফুল্ল কুমার দাশ প্রকাশ সাচীরাম দাশের বড় ছেলে নারায়ন দাশকে হত্যার পর ছোট ভাই জয় শংকর দাশ বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ১৫-১৬ জনকে আসামী করে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়। এজাহারনামীয় ৭জনের মধ্যে আবদুল আজিজ প্রকাশ আজিজ (৩০) ও মোঃ শাহ আলম (৩৫) গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছে। মোঃ নুরুচ্ছমদ (৬০) নামক একজন জামিনে রয়েছে। অপর ৪ জন যথাক্রমে মোঃ ওসমান (৩২), বেলাল উদ্দিন (৩৫), মোঃ ফরিদ (৩৪) ও নুরুল আমিন (৩২) এলাকায় প্রকাশ্যে থাকলেও রহস্যজনক কারণে আটক হচ্ছে না তারা।
এই মামলাটি প্রথমে চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই)আলমগীর হোসেন তদন্ত করলেও হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। এই গোয়েন্দা সংস্থাটি মাত্র একবার সরজমিন তদন্ত করে। কিন্তু তদন্তের কার্যক্রম দ্রুত নিস্পত্তি না হওয়ায় শিক্ষক নারায়নের পরিবার সদস্যদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
You must be logged in to post a comment.