সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ধর্মীয় / চট্টগ্রামে এবার জশনে জুলুছে ঈদ এ মিলাদুন্নবীতে লোকে লোকারণ‍্য

চট্টগ্রামে এবার জশনে জুলুছে ঈদ এ মিলাদুন্নবীতে লোকে লোকারণ‍্য

এম আবু হেনা সাগর; চট্টগ্রাম থেকে :

বারো আউলিয়ার পূর্ণভূমি চট্টগ্রামে জশনে জুলুছে ঈদ এ মিলাদুন্নবীতে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে। এবার জুলুছে নেতৃত্ব দেন হুজুর কেবলা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজি.আ)।

 

সাথে ছিলেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মজি.আ), শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (মজি.আ)। তাকবির, হামদ, নাতে রাসুল, গজল ও জিকিরে মুখরিত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের অলিগলি জুড়েই।

 

২৮শে সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) জশনে জুলুছে অংশ নিতে ভোর সকাল থেকেই চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলার ভক্তরা আসতে শুরু করেন। সকাল ৯টার আগে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লোকারণ্য হয়ে যায়।

ছোট-বড় বাস, ডাম্পার,ট্রাক ও পিকআপযোগে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গাউসিয়া কমিটির কর্মীদের মাঝে যেন ঈদের অনাবিল উৎসব। একটি ডিজাইনের পাঞ্জাবি, টুপি ও পাগড়ি নজর কাটে সবার। জুলুসকে কেন্দ্র করে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তোরণ, সড়কদ্বীপ ও সড়ক বিভাজকে জুলুসের পতাকা, বর্ণিল আলোকসজ্জা, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।


আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি নানা স্থান জুড়ে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক জুলুসে শৃঙ্খলা রক্ষার নিয়োজিত ছিলেন।

 

কাপ্তাই রাস্তার মাথা হয়ে বহদ্দারহাট থেকে জিইসি মোড় পয়ন্ত জশনে জুলুছে আসা লোক জনের ঢল নামে। মিছিলে মিছিলে মুখরিত করে তোলে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থান। ছোট ছোট যানবাহন চলাচল কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল।

 

সূত্র মতে, আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) চট্টগ্রামে জুলুছের নেতৃত্ব দেন ১৯৭৬ সালে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি জুলুছে নেতৃত্ব দেন। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি আর বাংলাদেশে আসেননি। তখন থেকে জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হুজুর কেবলা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজি.আ)।

 

লক্ষ্মীপুর থেকে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, চট্টগ্রামের জুলুসে বিগত কয়েক বছর ধরে আসছি, অসংখ্য মানুষ দেখে ভালো লাগে।

 

দেখা যায়, জশনে জুলুছে উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশুদ্ধ পানির স্টল, চিকিৎসা ক্যাম্প দেখা গেছে। সেই সাথে জুলুসে আসা গরমে তৃষ্ণার্ত লোকজনের মাঝে গাড়ির উপর থেকে গাউসিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন রকমের শুকনা খাবার ও শরবত বিতরন করছেন। জুলুছকে ঘিরে রাস্তার আশে বসে টুপি, আতর, ইসলামিক বই, পাঞ্জাবি, পাজামা, তসবিহ, জুতো, স্যান্ডেল, মোবাইল যন্ত্রাংশ, মুড়ি-মুড়কি, মুখরোচক খাবারসহ ফলের দোকান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁও-জালালাবাদ-পোকখালীর যোগাযোগ বন্ধ : পানি কমাতে ক্ষতচিহ্ন ভেসে উঠছে

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও : কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজীপাড়ায় মঞ্জুর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/