মানুষ চাঁদে গিয়েছে সেই ৫০ বছর আগে। এখন সেখানে বাসস্থান তৈরির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই মানুষ এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হয়তবা অদূর ভবিষ্যতে এই চেষ্টার ফসল হিসেবে সেটা বাস্তবে রুপ নিতেও পারে।
কিন্তু এখন যদি চাঁদে গিয়েও মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়, তাহলে কেমন হবে! এটা শুনতে অবাক মনে হলেও খুব সম্ভবত আগামী বছর (২০১৯ সাল) থেকেই চাঁদেও ‘ফোরজি’ পরিষেবা চালু হতে চলেছে এমনটাই জানা গেছে।
ব্রিটেনের বিখ্যাত টেলিকম সংস্থা ভোডেফোন জানিয়েছে, ২০১৯ সালের মধ্যেই চাঁদে ‘ফোরজি’ সেবা চালু করবে তারা। বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) ওই সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
টেলিকম সংস্থার তরফ থেকে সেখানে বলা হয়েছে, ‘নাসার তরফ থেকে ৫০ বছর আগে প্রথম চাঁদে পা রেখেছিল মানুষ, আর সেই ৫০ বছরের পূর্তিতেই পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটিতে বসতে চলেছে ফোরজি পরিষেবা। ব্রিটেনের বিখ্যাত টেলিকম সংস্থা ভোডাফোনের পক্ষ থেকে এই ফোরজি নেটওয়ার্কটি বসানো হবে। ২০১৯ সালের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে।’ এমনটিই ওই সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
এই প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে চাঁদে অভিযান চালানো হবে।
এ কারণে বিখ্যাত মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা নোকিয়ার সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে সংস্থাটি। পুরো অভিযান চালাতে যা খরচ হয় তার থেকে অনেক কম খরচেই এই চন্দ্রাভিযানটি হবে বলে জানা গেছে।
এ অভিযানটিতে আনুমানিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ ধরা হচ্ছে। ভোডাফোন জার্মানি এবং অডি একসঙ্গে কাজটি করছে।
চাঁদে ফোরজি নেটওয়ার্কটি সফল ভাবে চালু করা গেলে ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি হবে। যার সাহায্যে প্রথম বার চাঁদ থেকে লাইভ ভিডিও ফুটেজ পাঠানো সম্ভব হবে।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে মাত্র ১১ দিনের জন্য কাজ করবে এই পরিষেবা। কারণ ওই সময়ের পরেই যে অংশে নেটওয়ার্কটি বসানো হবে, সেখানে তাপমাত্রার বিপুল পরিবর্তন হবে।
সূত্র:তানভীন আহমেদ ফাহাদ-deshebideshe.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.