মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
র্যাব ক্যাম্পসহ কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলা হওয়ায় কক্সবাজারে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। থানা-ফাঁড়ি, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্টান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেন, উপজেলার সাত ইউনিয়নে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খান বলেন, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম টহল দিচ্ছে। স্টাইকিং ফোর্স রাখা হয়েছে দুটি।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, এই দ্বীপ উপজেলার প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও ধর্মীয় প্রতিষ্টানের আশপাশে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।
কক্সবাজার হেড কোয়াটারের ডিবি’র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সৌমিত্র চাকমা বলেন, জেলা ডিবিতে জনবল সংকট সত্বেও স্বল্প লোক নিয়ে আট উপজেলার খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। গোপন খবর পেতে নিয়োগ করা হয়েছে বেশ ক’জন অভিজ্ঞ সোর্সকে।
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো.মতিউল ইসলাম বলেন, জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার সরকারী-বেসরকারী দপ্তর, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খোঁজ-খবর রাখতে মাঠে রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। বিশেষ করে সাঈদীকে গ্রেপ্তারের পর তান্ডব চালানো চকরিয়া-পেকুয়া ও কুতুবদিয়ায় সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। কাউকে সন্দেহ হওয়া মাত্রই তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.