সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / জেলা পূজা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা- অবিলম্বে কক্সবাজার পুলিশ সুপারকে অপসারণ করুন

জেলা পূজা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা- অবিলম্বে কক্সবাজার পুলিশ সুপারকে অপসারণ করুন

জেলা পূজা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা- অবিলম্বে কক্সবাজার পুলিশ সুপারকে অপসারণ করুন

জেলা পূজা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা- অবিলম্বে কক্সবাজার পুলিশ সুপারকে অপসারণ করুন

অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:

১৯ অক্টোবরের মধ্যে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথকে অপসারণের দাবী জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। ১৪অক্টোবর বুধবার সকাল ১১টায় কক্সবাজার জেলায় আসন্ন শারদীয় দুর্গোত্সব উদ্যাপন এর প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে পরামর্শমূলক মতবিনিময় সভায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ দাবী জানান।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা রতন দাশ, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজবিহারী দাশ, অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, বিশ্বজিত পাল বিশু, ডাঃ পরিমল কান্তি দাশ, দীপক শর্মা দীপু, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি দীপক দাশ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাপপী শর্মা, শহর পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি ডাঃ চন্দন কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক স্বপন গুহ, মিল্টন পাল প্রমুখ।

সভায় লিখিত বক্তব্যে সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, আগামী ১৯ অক্টোবর হতে শুরু হয়ে ২৩ অক্টোবর শেষ হবে। এবার জেলায় মোট ২৭৬টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোত্সব। এরমধ্যে কক্সবাজার পৌরসভা-সদর উপজেলায় ৪০টি প্রতিমা ও ৩২টি ঘট, রামু উপজেলায় ১৮টি প্রতিমা ও ৯টি ঘট, চকরিয়া পৌরসভা-উপজেলায় ৪১টি প্রতিমা ও ৩৫টি ঘট, পেকুয়া উপজেলায় ১১টি প্রতিমা ও ৬টি ঘট, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১২টি প্রতিমা ও ২৭টি ঘট, মহেশখালী উপজেলায় ১টি প্রতিমা ও ৩১টি ঘট, উখিয়া উপজেলায় ৫টি প্রতিমা ও ৮টি ঘট এবং টেকনাফ উপজেলায় ৫টি প্রতিমা পূজার মন্ডপ স্থাপিত হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ১৬টি পূজা মন্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে জেলা ব্যাপী পূজা উদযাপনে প্রশাসন ও সাংবাদিক এবং সুশিল সমাজ সহ জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সর্বাত্মক সহায়তা কামনা করেন।

এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি বছর শারদীয় দুর্গাপুজায় আমরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়ে এসেছি। এবার কিন্তু তা পাচ্ছি না। এতবড় একটি ধর্মীয় উৎসবে পুলিশ সুপার আমাদেরকে কোন প্রকার সহযোগীতা করছেন না। তাঁর ভুমিকা রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। এ অসহযোগীতার কারণে ১৯ অক্টোবর হতে অনুষ্ঠিতব্য শারদীয় দূর্গোত্সবে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এ পুলিশ সুপার কক্সবাজার কমিউনিটি পুলিশের একটি নির্বাচিত কমিটিকে বিলুপ্ত করে তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কক্সবাজার শান্তি কমিটির নেতা ও একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর ছেলেকে সভাপতি করে কক্সবাজার জেলা কমিউনিটি পুলিশের কমিটি ঘোষনা করেন। এতে কক্সবাজারের হিন্দু সম্প্রদায় অপমানিত ও শঙ্খিত এবং আতংকিত।

সভায় নেতৃবৃন্দরা বলেন, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ কক্সবাজার আসার পর থেকে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সহযোগীতা করেনি এবং তার কাছে সহযোগীতার জন্য গেলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে চলে আসতে বাধ্য করেন।

পুলিশ সুপারের প্রতি তাদের কোন আস্থা নেই জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এ পুলিশকর্তা ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে আতাত করে ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের জঘন্যতম রামুর সাম্প্রদায়ীক ঘটনার ন্যায় কক্সবাজারে আরো একটি সাম্প্রদায়িক ঘটনার অবতারনার পঁয়তারা চালাচ্ছে বলে আশংকা প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দরা কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ কে অবিলম্বে অপসারনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।

নেতৃবৃন্দরা এবার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকা প্রকাশ করে বলেন, আমরা পুলিশ সুপারের এমন আচরণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মন্ডপে যদি কোন ধরণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটে আমরা সব মন্ডপে পুজা উত্সব বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।

নেতৃবৃন্দরা কক্সবাজার পুলিশের প্রতি আস্তা নেই জানিয়ে অনুষ্ঠিতব্য শারদীয় দূর্গোত্সবে বিজিবি মোতায়েনেরও দাবী জানান।

এ উত্সব জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের। এ উত্সবে সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অংশ গ্রহন করার জন্য আহবান জানান নেতৃবৃন্দরা।

তাদের প্রত্যাশা, এবার এই মাতৃশক্তি অসুরশক্তির বিনাশ করে বাঙ্গালীজাতিকে দেখাবে শুভবুদ্ধির পথ।

উল্লেখ্য যে, বিসর্জন অনুষ্ঠান হবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/