সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান : শ্রেণী কক্ষ ও শিক্ষক সংকট : নানা সমস্যায় জর্জড়িত পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান : শ্রেণী কক্ষ ও শিক্ষক সংকট : নানা সমস্যায় জর্জড়িত পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান : শ্রেণী কক্ষ ও শিক্ষক সংকট : নানা সমস্যায় জর্জড়িত পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান : শ্রেণী কক্ষ ও শিক্ষক সংকট : নানা সমস্যায় জর্জড়িত পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়

রফিক মাহামুদ, কোটবাজার :

কক্সবাজার জেলার উখিয়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝূঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান ও শিক্ষক সংকটের কারণে মারত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে প্রায় ৮শ শিক্ষার্থী। ১৯৮৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোন সরকারী দপ্তর হতে ভবন কিংবা শ্রেণী কক্ষ সম্প্রসারণের সহযোগিতা পায়নি। ১৯৯৪ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময় আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা কারিতাশ এর সহযোগিতায় ৪তলা বিশিষ্ট একটি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করার পর নতুন কোন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। ওই আশ্রয় কেন্দ্রে গাদা-গাদি করে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হচ্ছে।

১৯৯৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য শ্রেণী কক্ষ সংকট হলে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ওই ভবনের অবকাঠামো নিম্নমানের হওয়ার কারণে বর্তমানে ছাঁদের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে বর্ষাকালীন মৌসুমে ছাঁদের উপর থেকে বৃষ্টির পানি চুপসে শ্রেণী কক্ষে পড়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়া মারাত্মক ভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। জীবনের ঝূকি নিয়ে পড়া লেখা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ৭৮০ জন শিক্ষার্থীর জন্য শ্রেণী কক্ষ সংকটের কারণে গাদা-গাদি করে ক্লাস করছে। ৭৮০ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য মাত্র ৯ জন শিক্ষক রয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভূমিকার কারণে শিক্ষক সংকট থাকা স্বত্ত্বেও বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত রয়েছে। বর্তমান সরকার বিজ্ঞান শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব দিলেও বিদ্যালয়ে কোন ধরনের কম্পিউটার ল্যাব দেখা যায়নি। তবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া মান্ধাতার আমলের ওল্ড মডলের একটিমাত্র কম্পিউটার দিয়ে চালানো হয়েছে বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম। পরিচালনা কমিটি অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ৪ জন খন্ডকালীন শিক্ষককে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করলেও তাদের মাসিক সম্মানি দেওয়া হয় মাত্র ২হাজার টাকা। শ্রেণী কক্ষ ও শিক্ষক সংকটের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের টয়লেট ও টিউবওয়েল সংকেট থাকার কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাবে চরম ভোগান্তীর শিকার হতে হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সদস্য ফরিদ আলম বলেন, উখিয়ার সর্বদক্ষিণে একটি মাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে দিন দিন শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেলেও সরকারী সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে শ্রেণী কক্ষ সম্প্রসারণ কিংবা নতুন ভবন নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে একটি নতুন ভবন বরাদ্দ দেওয়ার জন্য উখিয়া-টেকনাফ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদির নিকট কয়েকবার লিখিত আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু তিনি এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের ভবন বরাদ্দ দেন। প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম মাহমুদ বলেন, আমি ২০১১ সালের উক্ত বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে শিক্ষক নিয়োগ, শ্রেণী কক্ষ সম্প্রসারণ সহ নানা সমস্যা সমধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হতে সহযোগিতা পাচ্ছি না।

এ কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা-পড়ার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি প্রতিবেদক জানান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/