এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে’- এ কবিতার মাধ্যমে আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিন্তু এ যুগে কবিগুরুর কবিতার মতো ঘরে বসে থাকলে কি আর হয়। কর্মব্যস্ত মানুষের সেই আলস্যের সুযোগটুকু নেই। পেটের তাগিদে, জীবন চালিয়ে নিতে কর্ম জীবী মানুষকে ঘর থেকে বের হতেই হয়।
তবে আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যস্ত। বৃষ্টির কারণে অনেকেই বের হচ্ছেনা ঘর থেকে। এতে করে আলস্যের মতো অনেকেই ঘরে বসে সময় পার করছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, থেমে থেমে বৃষ্টি ও টানা বৃষ্টিপাতে কর্মব্যস্ত ঈদগাঁওতে নেমে এসেছে বিপর্যস্ত। গত ৪/৫ দিনের বৃষ্টিপাতে সর্বস্তরের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার উপর বিভিন্ন ভাবে প্রভাব পড়েছে। তবে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষেরা বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ছাতা বা রেইনকোট পরে নিজ নিজ কর্মস্থলে যেতে। তবে বৃষ্টিতে ভিজে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ করতে দেখা গেছে অনেককেই। এদিকে বৃষ্টির কারণে গ্রামাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট কাদামাখা হয়ে পড়েছে। ক্ষেত-খামারে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে জেলা সদরের ঈদগাঁওতে টানা পাঁচদিনের বৃষ্টি পাতে ঈদগাঁও বাজারসহ বৃহত্তর এলাকার গ্রামীছ জনপদের লোকজনের মাঝে জনদূর্ভোগ চরমে উঠেছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃহত্তর ঈদগাঁওে বৃষ্টিপাতে সাধারণ জনগন, পথচারী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ হরেক রকম যানবাহন চলাচলে দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়েছে।
এছাড়াও বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে ময়লা আর্বজনাসহ বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে না পারায় এ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে বাজারবাসী। অথচ এমন অবস্থার পরেও বাজার কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভূমিকা রয়েছে। বাজারে প্রায় ব্যস্ততম গলিগুলো কাঁদাযুক্ত হওয়ায় পথচারীরা চলাচল করতে চরম সমস্যায় পড়েছেন। আবার ঈদগাঁও চৌফলদন্ডী সড়কের বংকিম বাজার ও মাইজ পাড়া নামক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ছোট ছোট যান চলাফেরায় নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে। এতে করে, বৃষ্টির পানির কারনে গর্ত দেখা না যাওয়ার ফলে দিবারাত্রি যানবাহন চলাচলে যে কোন মূহুর্তে দুর্ঘটনার আশংকা প্রকাশ করেন চালকরা। মাইজপাড়ার খালটি অর্ধখননের ফলে পানি চলাচল করতে না পারায় খালের পাশ্বর্বতী বসতবাড়ির উঠানে পানি চষে বেড়ানোর পাশা পাশি পানি বাড়ীতে প্রবেশ করার পথে বললেই চলে।
ঈদগাঁওর কালিরছড়া মিফতাহুল উলুম হেফজ-এতিমখানা ও মসজিদের পাশ্বর্বতী প্রায় ২০ একর ফসলী জমিতে বর্তমানে হাটু পরিমাণ পানি জমে রয়েছে। পানি চলাচলে পর্যাপ্ত স্থানে কালভার্ট না করার ফলে পানিবন্দি রয়েছে। এতে জনদূর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় লোকজন।
কোন প্রকার ফসলী জমিতে চাষাবাদ হচ্ছেনা বলে জানান স্থানীয় সচেতন যুবক লেদু। একই দিন মহাসড়কের পূর্বপাশে ভূতিয়ার বিল, চরপাড়ায় পানি প্লাবিত বলেও জানায়।
You must be logged in to post a comment.