চলতি পর্যটন মৌসুমকে টার্গেট করে সমুদ্র চ্যানেল দিয়ে ইয়াবার চালান ঢুকছে দরিয়ানগর পয়েন্টে। আর রাতে বরছরা গ্রামে বসে ইয়াবার হাট। গত শুক্রবার রাতে ইয়াবা নিয়ে চোর-পুলিশের খেলা চলে। বিরাজ করছে আধিপাত্য নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা।
জানা যায়, পর্যটন মৌসুমে হাজার হাজার পর্যটক আগমনকে টার্গেট করে কক্সবাজার শহরের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সড়ক পথে পাচাররোধে যৌথ বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে ঘন ঘন ধরা পড়ছে ইয়াবাসহ বহনকারীরা। এতে করে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নৌপথে নিরাপদ পয়েন্ট হিসাবে কলাতলীর দরিয়ানগরকে পছন্দ করে ব্যবসা শুরু করেছে। শুক্রবার রাত ১ টার দিকে নজির আলমের নৌযান দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান ঢুকে দরিয়ানগর পয়েন্টে। চালানটি মজুদ করে বরছরা গ্রামের একটি বাড়িতে। ইয়াবার ভাগ বন্টন নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও হট্টগোল হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দু’গ্রুপ সটকে পড়ে।
পুলিশ স্থানীয় আমির হামজার ঘরে তল্লাশী চালায়। কিছু না পেয়ে পুলিশ ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। পুলিশ যাওয়ার পর পর ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠে।
রাতে বসে ইয়াবার হাট। শহরের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা রাতে দরিয়ানগরের বরছরা গ্রামে গিয়ে এ হাট থেকে ইয়াবা ক্রয় করে। ইয়াবা ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, বখাটে আর ইয়াবা সেবনকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় বরছরা। পুলিশ আসলে সরে যায় ইয়াবা সেবনকারী, পুলিশ চলে গেলে সরব হয়। দরিয়ানগরে এভাবে চলছে চোর-পুলিশের খেলা। আগে ছিল মফিজ ইয়াবা সিন্ডিকেট এখন নতুন করে যোগ হয়েছে নজির আহমদ ইয়াবা সিন্ডিকেট।
এসব সিন্ডিকেটে বরছরা গ্রামের অনেক নেতা জড়িত হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়। দরিয়ানগরকে মাদকমুক্ত করার জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।
You must be logged in to post a comment.