গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার আনাচে কানাছে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ চোঁখে পড়ার মত। অথচ তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখার জন্য টেকনাফ উপজেলা জুড়ে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট। কিন্তু রোহিঙ্গারা প্রশাসনের সদস্যদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে চলে যাচ্ছে টেকনাফের শ্রমবাজার দেশের আনাচে কানাছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায় টেকনাফের স্থানীয় জনসংখ্যার চেয়ে তিনগুন রোহিঙ্গা অত্র এলাকায় বসতি স্থাপন করছে। বর্তমানে টেকনাফের শ্রমবাজার পুরোটাই দখল করে নিয়েছে রোহিঙ্গারা। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে তাদের অবাধ বিরচন। টেকনাফ পৌর শহর ঘুরে দেখা যায়, রিক্সা, অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত টমটম, মাহিন্দ্র গাড়ীর বেশীর ভাগ চালক মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা।এমনকি চায়ের দোকান, আবাসিক হোটেল গুলোতেও শ্রমিক হিসাবে যারা কর্মরত রয়েছে তাদের মধ্য বেশীর ভাগ শ্রমিক হচ্ছে রোহিঙ্গা।
এদিকে টেকনাফের স্থল বন্দরের কর্মরত শ্রমিক হিসেবে যারা কাজ করে আসছে। তারাও রোহিঙ্গা!
এব্যপারে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়,রোহিঙ্গা শ্রমিকরা কম টাকার বিনিময়ে কাজ করে। এতে স্থানীয় দিন মজুর শ্রমিকরা পড়ে যাচ্ছে বিপাকে। এবিষয়ে টেকনাফের সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অভিমত ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে সমস্ত অসাধু অর্থলোভী ব্যবসায়ীরা নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য কম টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা শ্রমিক ব্যবহার করছে তাদেরকে আইনের আওয়তাই নিয়ে না আসলে স্থানীয় শ্রমবাজারসহ পাড়া মহল্লায় রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ দিন দিন বাড়তে থাকবে।
তারা আরো বলেন, যদি এখন থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রন করা না হয় এমন একদিন আসবে টেকনাফ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো চলে যাবে রোহিঙ্গাদের দখলে।
You must be logged in to post a comment.