গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামীদের ধরতে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। সেই বিশেষ অভিযানের সফলতা হিসাবে ২২ জানুয়ারী গভীর রাত থেকে ২৩ জানুয়ারী পর্যন্ত হত্যা, মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িত ৩৮ জন পলাতক আসামীকে ধরতে সক্ষম হয়। এদের মধ্যে ১৯ জান আসামী মামলা থেকে জামিনে থাকায় সঠিক তথ্য প্রমান নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
টেকনাফ মডেল পুলিশ সুত্রে আরো জানা যায়, গত রোববার গভীর রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান ও অপারেশন কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলমের নেতৃত্বে টেকনাফ থানার পুলিশ সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘ দিন পলাতক থাকা বিভিন্ন মামলায় জড়িত ৩৮ জন আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে- হ্নীলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মোঃ মোস্তাক, হাশেম প্রকাশ হাকিম, মো: হাসেম, নুরুল ইসলাম, মোঃ ইলিয়াছ প্রকাশ পুতুয়া, খালেক হোছন, মোঃ আলম, আব্দুর রহিম প্রঃ রইক্যা, আব্দুর রহমান, আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ, অপর অভিযানে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে আরো বেশ কয়েকজন পলাতক আসামীকে আটক করা হয়। এরা হচ্ছে , ফরিদ আলম, বশর মিয়া প্রকাশ নূর বশর, অপরদিকে টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন ওর্য়াডে অপরাধীদেরকে ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয় সেই অভিযানে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। এরা হচ্ছে জালিয়াপাড়া এলাকার শামীম হোসেন, চৌধুরী পাড়ার আসমা খাতুন, পুরান পল্লান পাড়ার ওসমান গনি, আয়ুব, জহির আহাম্মদ, জাফর আলম, নুরুল কবির, আব্দুল লতিফ, আব্দু রাজ্জাক, মোঃ আইয়ুব, তার পাশাপাশি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবির পাড়া এলাকার হোছন আহাম্মদ, আবু বক্কর ছিদ্দিক, মৌলভী পাড়ার একরাম, খানকার পাড়ার ইলিয়াছ, মহেষখালীয়াপাড়ার মোঃ আলম, ডেইল পাড়ার নূর হোসেন, রাজারছাড়া এলাকার শহর মুলুক, নূর মোহাম্মদ, মিঠাপানির ছড়ার বাদশা মিয়া, হাবির ছড়ার মোঃ আমিন, হাতিয়ার ঘোনার মো: আলী, আবু তারেক, বরইতলীর জামাল, সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের শামিম আহাম্মদ, শমসু শামিম।
এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ৩৮ জন পলাতক আসামিকে আটক করেছে।
এদের মধ্যে হত্যা, মাদকসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামীও রয়েছে। ৩৮ জনের মধ্যে ১৯ জন আসামীর জামিনের রিকল থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে টেকনাফ উপজেলার অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
You must be logged in to post a comment.