কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গা মাদকপাচারকারী নিহত হয়েছেন। এ সময় বিজিবির দুই সদস্যও আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় অস্ত্র, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
রোববার ভোরে টেকনাফের নোয়াপাড়ার বেড়িবাঁধ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধে ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বিজিবির ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান। নিহত ব্যক্তি উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৯, এইচ/৬ ব্লকের বাসিন্দা খায়রুল আমিনের ছেলে মো. সাকের (২২)।
তিনি জানান, বিজিবি-২ ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ নোয়াপাড়া বিশেষ ক্যাম্পে একটি টহল দল বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। আনুমানিক ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নাফ নদী পার হয়ে ৩-৪ জনকে বেড়িবাঁধের উপর উঠতে দেখে। এ সময় টহলদল ওই ব্যক্তিদের থামার জন্য চ্যালেঞ্জ করে। কিন্তু বিজিবির অবস্থান টের পেয়ে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। উভয় পক্ষের মধ্যে ৫ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা গুলি করতে করতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দৌড়ে নিকটবর্তী গ্রামে ঢুকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
গোলাগুলি থামার পর বিজিবির টহলদল ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। পরবর্তীতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়ার সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিচয় পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, গোলাগুলির ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে দুই লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজের খালি খোসা ও একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। আহত বিজিবি সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এ কর্মকর্তা।
সূত্র: somoynews.tv – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.