সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / টেকনাফে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৪ কোটি টাকার ইয়াবা

টেকনাফে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৪ কোটি টাকার ইয়াবা


গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

চলো যাই যুদ্ধে “মাদকের বিরুদ্ধে”এই শ্লোগানকে সামনে রেখে টেকনাফ সীমান্তে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চলমান মাদক বিরোধী সাঁড়াশী অভিযান ও মাদক কারবারীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সংগঠিত ঘটনা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সেই সুত্র ধরে গত ২/৩ মাসের মধ্যে অত্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০ জন মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। আবার মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ ও মাদকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় প্রায় ৭০ জন ব্যক্তি নিজের ইচ্ছায় আইনের কাছে আত্মসমর্পন করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব সদস্যদের মাদক বিরোধী চলমান কঠোর অভিযানের মধ্যেও কিভাবে ইয়াবা বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। অত্র এলাকায় এখনো মাদক পাচারে কারা জড়িত? এই নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে দেখা দিয়ে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া। চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই অভিমত ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভদ্রতার আড়ালে থেকে বেশ কিছু মুখোশধারী ব্যক্তিরা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অর্থলোভী রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে এখনো ইয়াবা পাচার অব্যাহত রেখেছে। তাদের নাম ঠিকানা প্রশাসনের তালিকাই নেই। তারা অত্র এলাকার ভদ্রবেশী সাধু শয়তান!

এদিকে ২৫ জানুয়ারী টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ১লক্ষ,৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে।

বিজিবি তথ্য সুত্রে জানা যায়, ২৫ জানুয়ারী শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দারের নেতৃত্বে টেকনাফ বিওপির একটি বিশেষ টহলদল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড উত্তর জালিয়াপাড়া একটি পরিত্যক্ত বাড়ীর পার্শ্বে তল্লাশী চালিয়ে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা মাটি খুঁড়ে ইয়াবা ভর্তি একটি ড্রাম উদ্ধার করে। এরপর উক্ত ড্রামের ভিতর থেকে ৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১ লক্ষ ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। অপরদিকে ২৪ জানুয়ারী রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন নাজির পাড়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা নাফনদীর সীমান্ত সংলগ্ন আলম প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

তথ্য সুত্রে দেখা যায়, অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচার কারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাই উদ্ধারকৃত ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

এব্যাপারে টেকনাফ সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন মাদক পাচার প্রতিরোধে টেকনাফসহ সারা দেশে মাদকের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কঠোর অভিযান এবং বন্দুকযুদ্ধের মধ্যেও ভদ্রতার আড়ালে থাকা কতিপয় মাদক চোরাচালানীদের অপতৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। তাই আমাদের দাবী আড়ালে থাকা এই সমস্ত মাদক কারবারে জড়িত ব্যাক্তিদের তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তানা হলে টেকনাফবাসী ইয়াবা কলংক থেকে কোন দিনও মুক্তি পাবেনা।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে গভীররাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, স্কেভেটর ধ্বংস

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :বান্দরবানের লামায় গভীর রাতে পাহাড় কাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/