গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে মাদক পাচার প্রতিরোধ ও কারবারীদের ধরতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চলমান অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এই অভিযানের মধ্যে টেকনাফের চিহ্নিত ইয়াবা পাচারকারীরা আড়ালে থেকে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন টেকনাফ পুলিশ,বিজিবি,র্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যরা প্রতিনিয়ত উদ্ধার করছে হাজার হাজার ইয়াবা। পাশাপাশি আটক করতে সক্ষম হয়েছে বেশ কয়েকজন ইয়াবা কারবারীকে।
সেই সূত্র ধরে ৭ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ কোস্টগার্ড সদস্যরা টেকনাফ স্থল বন্দর এলাকার চাকাজোড়া খালের পাশ থেকে ৪৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এই ইয়াবাগুলোর সাথে জড়িত কোন মাদক কারবারীকে আটক করতে পারেনি তারা। কোস্ট গার্ড জানিয়েছে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা পাচারকারীরা পাশের জঙ্গলে মধ্যে পালিয়ে যায়।
তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, অপর একটি পৃথক অভিযানে, কোস্টগার্ড ৬ আগষ্ট রাত ৮ টায় টেকনাফ স্থল বন্দর এলাকা হতে ৩ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উক্ত দুইটি অভিযানে কোন মাদক কারবারী আটক করা সম্ভব হয়নি। তারা আরো জানায় জব্দকৃত ইয়াবা গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা।
এদিকে টেকনাফ উপজেলায় কর্মরত র্যাব-৭ সদস্যরা ৭ আগষ্ট বিকাল ৩টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন লেংগুরবীল এলাকার মাদ্রাসার সামনে থেকে ক্রেতা সেজে উক্ত ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড উত্তর লম্বরী এলাকার মৃত মকতুল হোসেনের পুত্র মাদক কারবারী মুছা ইব্রাহিমকে ২০ হাজার ইয়াবাসহ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবাগুলোর মূল্য ১০ লক্ষ টাকা বলে জানায় র্যাব। ইয়াবাসহ আটক আসামীকে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ কোম্পানী কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান কক্সবাজার।
You must be logged in to post a comment.