গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
টেকনাফ পৌরসভার দীর্ঘ দিন ধরে অলিতে গলিতে রাস্তার দু-পাশে যত্রতত্র দোকানপাট, অবৈধ দখল ও স্থাপনা গুলো অবশেষে উচ্ছেদ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
১৮ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। উক্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন টেকনাফ উপজেলা সহকারি মেজিষ্ট্যেট (ভূমি) জাহেদ ইকবাল, পৌরসভার প্রকোশলী জহির উদ্দিন আহম্মদ, নিজ নিজ এলাকার কাউন্সিলারবৃন্দ, টেকনাফ মডেল থানার এস আই সুবীর পালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য পৌর মেয়র হাজী মো: ইসলামকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ী ও পথচারিরা।
এদিকে এই উচ্ছেদ অভিযানে সড়কের দুই-পাশের প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ দখল, অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন সমাজের নাগরিকরা। তারা আরো অভিমত প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ বছরে পর বছর ধরে টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন সড়কের রাস্তার দু-পাশে যত্রতত্র অবৈধ দখল ও দোকানপাট তৈরী করে যানজটের সৃষ্টি করে আসছিল। অবশেষে এই সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি পৌর মেয়র হাজী মো: ইসলামকে তার পাশাপাশি পৌর এলাকার হাট বাজারের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান তৈরী করে দিলে এই সমস্ত যানজট ও অবৈধ দখল থেকে পৌরবাসী মুক্তি পাবে।
উল্লেখ, গত ২৮ জুলাই টেকনাফ উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে পৌর এলাকার অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে জোর দাবি জানানো হয়েছিল। এর পর টেকনাফ উপজেলার আওয়াতাধীন যে সমস্ত অবৈধ দখল ও অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সেই সমস্ত দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে কঠোর সিধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা ৩ আগস্ট পৌর মেয়র হাজী মো: ইসলাম পৌর শহরে গড়ে উঠা অবৈধ দখল ও স্থাপনা গুলো ৭ আগস্ট বিকাল ৫ টার মধ্যে নিজ নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করে ঘোষণা দেয়। কিন্তু মাইকিং করে সতর্ক করার পরও অবৈধ দখলদাররা তাদের নিজের ইচ্ছাই আগের অবস্থানে থেকে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এরপর অবশেষে পৌর কর্তৃপক্ষ ১৮ আগস্ট সকাল ১১টায় এই অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
এব্যাপারে টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মো: ইসলাম জানান, পৌর শহরকে নতুন রুপে সাজাতে রাস্তার দুই পাশে যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা গুলো। দীর্ঘ দিন সময় দেওয়ার পরেও ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দায়িত্বে সরিয়ে না নেওয়ায় অবশেষে আমরা এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছি। পুনরায় কেউ যদি আবারও সড়কের দু-পাশে অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা তৈরী করলে সেই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.